সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। গতকাল সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রশংসা করে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার জন্য চীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ছাত্র-জনতার সম্মিলিত ত্যাগের ফলে গঠিত এই অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতি, অন্যায়-অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সবসময় কঠোর অবস্থানে থাকবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন অন্তর্বর্তী সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, চীন সরকার সবসময় বাংলাদেশ ও এর জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সহযোগিতা করে যাবে। চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার এবং চীন সরকার সবসময় বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়নমুখী প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। বর্তমানে চলমান বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। উপদেষ্টা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যে অনেক জনকল্যাণমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ, ভবিষ্যতে বিভিন্ন কাজের দরপত্র উন্মুক্ত প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে আহ্বান করা এবং এক্ষেত্রে কোনো বিশেষ চুক্তি বা সুবিধা প্রদান না করা অন্যতম পদক্ষেপ। এ সময় তিনি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ট্রেনের লোকোমোটিভ ক্রয়ে চীন সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা কামনা করেন। উপদেষ্টা চীনের চলমান প্রকল্পগুলোতে সব প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন এবং উল্লেখ করেন, এই সরকার খরচ কমিয়ে কাজের গুণগত মান বজায় রেখে গ্রাহক সেবার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি সড়ক, সেতু, রেল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিভিন্ন প্রকল্পে চীন সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা কামনা করেন। চীনা রাষ্ট্রদূত গ্রিন অ্যানার্জি খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করার পরামর্শ দেন এবং অন্যান্য খাতগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাচাই করে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও কারিগরি সহায়তার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।