বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

দ্রুত বিচার বিভাগের সংস্কার প্রয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্রুত বিচার বিভাগের সংস্কার প্রয়োজন

দ্রুতগতিতে বিচার বিভাগের সংস্কার দাবি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (সুপ্রিম কোর্ট বার) সভাপতি ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। গতকাল সমিতির মিলনায়তনে        আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। ব্যারিস্টার খোকন বলেন, গত ১৬ বছরে বিচার বিভাগ আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। অনেক বিচারক রাজনৈতিকভাবে বিচার করেছেন। আইনজীবী সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। এদের অপসারণ করতে হবে। তবে গত সরকারের আমলে অনেক ভালো বিচারক নিয়োগ পেয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। জানান, তাদের নিয়ে কোনো আপত্তি নেই। এ ছাড়া সাবেক আইনমন্ত্রী কোন কোন বিচারককে ফোন করে রায় ঘোষণায় প্রভাব বিস্তার করেছিলেন তার ফোন রেকর্ড প্রকাশ করার দাবি জানান তিনি। সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে ক্যান্সার রোগী বানিয়ে জোর করে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে ব্যাংককে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে নেয় সরকার। এজন্য বিচার বিভাগে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিল, যাতে কেউ সরকারের অনিয়মের বিরুদ্ধে কোনো আদেশ বা রায় না দেন। বার সভাপতি আরও বলেন, গত ১৬ বছরে দুদক কিছু দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন অনেক দুর্নীতিবাজের দুর্নীতির কথা মিডিয়ায় আসছে। গত ১৬ বছরে দুদক আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেনি। এটা এখন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে। দুদকের কৌঁসুলিরা এর সহযোগী। তিনি বলেন, খুরশীদ আলম খান এখনো দুদকে রয়ে গেছেন। উনি খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিরোধিতা করেছেন। ওই আইনজীবীকে পদত্যাগ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, গত সরকারের আমলে অসংখ্য বিরোধী নেতা-কর্মীকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে কত লোক মারা গেছে-তার সংখ্যা এখনো নিরূপণ করা হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের দ্রুত এ সংখ্যা প্রকাশ করা উচিত। ব্যারিস্টার খোকন আরও বলেন, ৬০-৬২ জন বিচারককে গুরুত্বপূর্ণ বেঞ্চ দেওয়া হয়নি। বলা হচ্ছে, এদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এত পর্যবেক্ষণ করার কিছু নেই। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হোক। তিনি বলেন, নতুন বিচারক নিয়োগ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এখনো পদক্ষেপ নেয়নি। বিচারক নিয়োগের কোনো নীতিমালা করা হয়নি। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। অবশ্যই মেধাবী, সৎ ও যোগ্যদের বিচারক নিয়োগ করতে হবে।

সর্বশেষ খবর