শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা
দিনে ১০ কোটি টাকা

শাজাহান খানের ভয়াবহ চাঁদাবাজি

দেনাদার থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক - দখল-চাঁদাবাজিতে অর্জিত যত সম্পদ - সরকারে থেকেও সরকারের বিরোধিতা - গার্মেন্ট কারখানাগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষের নেপথ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও মাদারীপুর প্রতিনিধি

শাজাহান খানের ভয়াবহ চাঁদাবাজি

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান ছিলেন স্বৈরাচারী সরকারের এক সময়ের নৌপরিবহন মন্ত্রী। কিন্তু তার বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ছিল সারা দেশের সড়ক পরিবহন খাতে। সড়ক পরিবহনের বৈধ-অবৈধ প্রায় ১ হাজার সংগঠনের মাধ্যমে চাঁদাবাজির এক নিরাপদ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন তিনি। এর পাশাপাশি এক যুগ আগে থেকেই দেশের বিকশিত গার্মেন্ট সেক্টরেও তিনি থাবা বসান। সড়ক পরিবহনে ৯৩২ সংগঠনের নিয়ন্ত্রক তিনি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি। এর পাশাপাশি ২০১৩ সালে ৫২টি গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সমন্বয়ে গঠন করেন গার্মেন্ট শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ। এ সংগঠনেরও প্রধান তিনি। ঢাকার আশুলিয়া ও গাজীপুরের সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষের নেপথ্যে শাজাহান খানের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে শাজাহান খানের নিয়ন্ত্রিত সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সারা দেশে প্রতিদিন তাদের বৈধ-অবৈধ ৯৩২টি সংগঠনের মাধ্যমে ১০ কোটি টাকার বেশি চাঁদা তোলে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি টাকার বেশি সরাসরি শাজাহান খানের কাছে পৌঁছাত বলে জানা গেছে। পরিবহন খাতের ‘সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত শাজাহান খানের সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজির ব্যাপারে তার সংগঠনের নেতারাই সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিকার দাবি করেছেন। শাজাহান খানের উত্থান ১৯৭২ সালের শুরুতে মাদারীপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হওয়ার মধ্য দিয়ে। ওই বছরই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হন তিনি। এরপর ১৯৮০ সালে ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক ও ১৯৯৪ সালে কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর থেকে শ্রমিকদের এ সংগঠনের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক তিনি। সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের শীর্ষ নেতা হওয়ার কারণে শাজাহান খানের জন্য সড়কে চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন মালিকদের সঙ্গে আঁতাত করে সারা দেশের যানবাহন থেকে প্রতিদিন প্রায় ১০ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে। এ ব্যাপারে পরিবহন শ্রমিক নেতা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন বলেন, শাজাহান খানের নির্দেশে পুরো পরিবহন খাত চলত। তার কাছেই জিম্মি ছিল দেশের সড়ক পরিবহন খাত। পরিবহন শ্রমিকদের উন্নয়নে কোনো অবদানই ছিল না তার। প্রতিদিন সড়ক থেকে ১০ কোটির বেশি টাকা তুলত তার ফেডারেশন। কিন্তু সেসব টাকা শ্রমিকদের কোনো কাজেই আসত না। সড়কে তার দাপট শুরু হয়েছিল পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন দিয়ে। সেখান থেকে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের শীর্ষ নেতা হয়ে এ খাতের সম্রাট হয়ে ওঠেন তিনি। ক্ষমতা ও দাপটে হাজার কোটি টাকার সম্পদ বানিয়েছেন তিনি। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শাজাহান খানের সার্বিক পরিবহনের ৩২টি বাসে আগুন দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের অন্য নেতাদের মতো তিনিও গা-ঢাকা দিয়েছিলেন। গতকাল ভোরে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার হন তিনি।

দেনাদার থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক : রাজনীতিতে শাজাহান খানের শুরু হয়েছিল আওয়ামী লীগের হাত ধরে। মাঝে জাসদ হয়ে তাদের দুঃসময়ে আবার ফিরেছেন আওয়ামী লীগে। হয়েছেন বড় নেতা ও মন্ত্রী। আওয়ামী লীগে ফেরার পর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ঘুরতে থাকে ভাগ্যের চাকা। তৈরি হয় ক্ষমতার প্রভাব বলয়। একে একে নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকেন মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। প্রভাব বাড়তে থাকে তার পরিবার ও স্বজনদের। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ছিলেন দেনাদার। ২০১৮ সালের একটি গোয়েন্দা সংস্থার গোপন প্রতিবেদন মতে তিনি কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক। ২০০৮ সালের নির্বাচনি হলফনামা মোতাবেক শাজাহান খানের মাসিক আয় ছিল ৫৭ হাজার ৮৬ টাকা। তার স্ত্রীর শিক্ষকতা থেকে মাসে আসত ৫ হাজার ২০০ টাকা। তখন তাদের স্বামী-স্ত্রীর হাতে নগদ কোনো টাকা ছিল না। বরং ঋণ ছিল ৪২ লাখ টাকার উপরে। ২০০৮ সালে শাজাহান খানের বার্ষিক আয় ছিল ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৩৬ টাকা। এই হিসাবে প্রতি মাসে আসত ৫৭ হাজার ৮৬ টাকা। ২০০৮ সালে শাজাহান খানের নিজ নামে স্থাবর সম্পদ ছিল তিন স্থানে। এ ছাড়াও গ্রামের বাড়িতে যৌথ মালিকানায় স্থাবর সম্পদ ছিল। বর্তমানে তার নিজ নামে স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে কমপক্ষে ১৫ স্থানে এবং যৌথ মালিকানায় রয়েছে আরও ছয় স্থানে। ১০ বছর আগে শাজাহান খানের স্ত্রীর নামে ছিল দুই স্থানে স্থাবর সম্পদ। বর্তমানে তার স্ত্রীর নামে স্থাবর সম্পদ রয়েছে ১৩ স্থানে। শাজাহান খান এক সময় আওয়ামী ছাত্রলীগের নেতা হলেও জাসদ গঠনের পর তিনি জাসদে যোগ দেন। জাসদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। জাসদের সশস্ত্র সংগঠন গণবাহিনীর সদস্য ছিলেন শাজাহান খান। তবে ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে তিনি দ্রুতই ক্ষমতা বৃদ্ধি করেন।

দখল-চাঁদাবাজিতে অর্জিত যত সম্পদ : ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। এরপর দ্রুতই তার ভাগ্য বদল শুরু হয়। শাজাহান খান ও তার ভাই এবং দলীয় কর্মীরা একে একে প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন বিভিন্ন সেক্টরে। তিনি সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ থাকলেও প্রশাসন ছিল নীরব। তার পরিবারের সদস্য ও দলীয় কর্মীরা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের টেন্ডারবাজি করে কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আমলে। শাজাহান খানের ছোট ভাই হাফিজুর রহমান যাচ্চু খান মাদারীপুরের বিভিন্ন দপ্তরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন। আরেক ভাই ওবায়দুর রহমান কালু খান ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি। তার ইশারায় চলত মাদারীপুরের বিচার বিভাগ। বিচার বিভাগে সিন্ডিকেট করে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। শাজাহান খানের মালিকানাধীন সার্বিক ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা গড়ে তোলেন তিনি। সার্বিক পরিবহন, সার্বিক ফিলিং স্টেশন, সার্বিক কনস্ট্রাকশন ফার্ম, সার্বিক রিয়েলস্টেট, সার্বিক ইটভাটা, সার্বিক প্রেসসহ নানাবিধ ব্যবসা-বাণিজ্য। এসবই করেছেন দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে। মাদারীপুর শহরের একাধিক ব্যক্তির জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে তার ভাই ওবায়দুর রহমান কালু খানের বিরুদ্ধে। সড়ক বিভাগের জমি দখল করে ফিলিং স্টেশন নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে তার ছোট ভাই হাফিজুর রহমান যাচ্চু খানের বিরুদ্ধে। শুধু জমি দখলই নয় এলজিইডি, সড়ক বিভাগ, গণপূর্ত বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ সব সরকারি দপ্তরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। শাজাহান খান তার ক্ষমতার দাপটে মাদারীপুর ডায়াবেটিক হাসপাতাল, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, চেম্বার অব কমার্সও দখল নিয়েছিলেন। মাদারীপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে নিজেই সভাপতির পদ দখল করেন। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে বসান তার বন্ধু সৈয়দ আবুল বাসারকে। চেম্বার অব কমার্সের দায়িত্ব দেন তার ছোট ভাই হাফিজুর রহমান যাচ্চু খানকে। ১৯৭০ সালে মাদারীপুর সদর আদালতে একটি মামলায় তার ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ হয়েছিল। এ ছাড়াও গোপালগঞ্জ সদর থানার একটি অস্ত্র মামলায় তার বিরুদ্ধে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ হয়েছিল। এ ছাড়াও একাধিক মামলা হলেও রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো মামলাতেই তাকে জেলহাজতে যেতে হয়নি। সব সময়ই তিনি ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। ২০১৩ সালে খালেদা জিয়ার বাসার বিদ্যুৎ লাইন ও পানির লাইন কেটে দিয়ে তিনি ব্যাপক সমালোচনায় পড়েন। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সর্বহারা ও জাসদের একাধিক নেতা-কর্মীকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে কোনো ঘটনাতেই তার বিরুদ্ধে কেউ মামলা করার সাহস পায়নি।

সরকারে থেকেও সরকারের বিরোধিতা : শাজাহান খান সরকারে থেকেও সরকারের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের ব্যবহার করতেন। ২০১৮ সালে ঢাকায় বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় সড়ক পরিবহন শ্রমিক নেতা শাজাহান খান বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচিত হন। ওই বছর সাজা কঠোর করে ও জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে সড়ক পরিবহন আইন পাস হয়। তাকে বাদ দিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কমিটি করা হয়, যা নিয়ে তখন ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরে শাজাহান খানের নেতৃত্বে মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনসহ সাত দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট ডাকে। তাদের বিরোধিতার কারণে আইনটি কার্যকর করতে ১৪ মাস লেগে যায়। অনেক বাহানার পর আইনের ১২টি ধারায় অপরাধের শাস্তি ও ৮টি ধারায় জরিমানার পরিমাণ কমিয়ে খসড়া সংশোধনীতে সায় দেয় মন্ত্রিসভা। বাস মালিকদের সংগঠন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির আহ্বায়ক সাইফুল আলম বলেন, বাস মালিকদের জিম্মি করে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে রাখতেন শাজাহান খান। তার জন্য সড়কে চাঁদাবাজি কোনোভাবেই ঠেকানো যেত না। বাস মালিক নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে পরিবহন খাতকে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছেন তিনি। পরিবহন খাতে নৈরাজ্যের জন্য শাজাহান খান দায়ীদের মধ্যে অন্যতম।

দিনে ১০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি : সড়ক পরিবহন খাতে দিনে ১০ কোটি টাকার বেশি চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ। সংগঠনটি বলেছে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন মালিকদের সঙ্গে আঁতাত করে সারা দেশে দিনে ১০ কোটি টাকার বেশি চাঁদা আদায় করে। ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ খোকন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন, শ্রম ও জনশক্তিবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। তারা বলেন, শ্রমিকদের শোষণ করে চাঁদাবাজরা শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। রাজধানীর চারটি বড় টার্মিনালসহ দেশের প্রতিটি টার্মিনালের শ্রমিকরা এ মাফিয়া চক্রের হাতে জিম্মি। এরা সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করে নিজেদের প্রাসাদ-প্রতিপত্তি গড়ে তুলছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর এ চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ কিছুটা শিথিল হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।  

গার্মেন্টে অসন্তোষ : নেপথ্যে শাজাহান খান : সম্প্রতি গাজীপুর-আশুলিয়ায় গার্মেন্ট কারখানাগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষের নেপথ্যে শ্রমিক নেতা শাজাহান খানের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আন্দোলনরত তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে শাজাহান খানের যোগাযোগ রয়েছে বলে সরকারের সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানতে পেরেছে। উল্লেখ্য, সড়ক পরিবহন খাতের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক শাজাহান খান সড়ক পরিবহনের পাশাপাশি এক সময় হাত বাড়ান পোশাক শ্রমিক সংগঠনগুলোর দিকে। ২০১৩ সালে ৫২টি গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সমন্বয়ে গঠন করা হয় গার্মেন্ট শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ। এ সংগঠনেরও প্রধান তিনি। এ সংগঠিত তৈরি পোশাক শ্রমিকদের নিয়ে রাজধানীতে গত এক যুগে অনেকবার জোরালো আন্দোলন করেছেন শাজাহান খান। শ্রমিক নেতা হিসেবে গার্মেন্ট মালিকদের জিম্মি করে মোটা অঙ্কের চঁাঁদা আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে শাজাহান খানের বিরুদ্ধে।

সর্বশেষ খবর