বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশকে যে কোনো মূল্যে স্থিতিশীল রাখতে হবে। দেশকে বড় ধরনের পরিবর্তনের জন্য নতুন বাংলাদেশ গড়ার। যে প্রত্যয় বর্তমান সরকারের, সেটার জন্য আমরা সবাই কাজ করছি। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করছি। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এখানে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন গার্মেন্ট ও ওষুধ কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য অনেক কার্যকলাপ হচ্ছে। পেছনে কারা আছে, তা আমরা সবাই জানি। এগুলো করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। গতকাল দলের চেয়ারপারসনের রাজধানীর গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে সমমনা দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। বিকাল ৪টা ২৫ মিনিটে ন্যাপ ভাসানীর সঙ্গে বৈঠক হয়। এতে ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ১২ জনের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন। এসব বৈঠকে বিএনপির পক্ষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও লিয়াজোঁ কমিটির প্রধান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ও লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন। এরপর বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। বিকাল পৌনে ৫টায় বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বাবুল সরদার চাখারীর নেতৃত্বে ১২ জনের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন। সর্বশেষ গণফোরামের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন। আমীর খসরু বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর আমরা প্রথমবার মিলিত হয়েছি। আমাদের যুগপতের যে ঐক্যটা, সেটি আমরা অটুট রাখছি। তিনি বলেন, সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়নে তৃণমূলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। এটা বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন দলগুলোর শীর্ষ নেতারা। তারা বলেছেন, এই ঐক্য বিনষ্ট করা যাবে না। যদি ৩১ দফাতে আরও কিছু পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হয়, সেটাও করবে। জনগণ যদি মনে করে আরও কিছু পরিবর্তন করার প্রয়োজন রয়েছে- সেটাও তারা জনগণের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবে। এ ছাড়া নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠনের বিষয়েও আলোচনা হয়। আমীর খসরু বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর আমরা প্রথমবার মিলিত হয়েছি। আমাদের যুগপতের যে ঐক্য, সেই ঐক্যটা অটুট রাখছি। কারণ দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এখানে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন গার্মেন্ট ও ওষুধ কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য অনেক কর্মকান্ড চলছে। এ সম্পর্কে আমাদের সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।