রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা
মির্জা ফখরুল ইসলাম

সরকারের কাছে মানুষের আশা আকাশচুম্বী

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের কাছে মানুষের আশা আকাশচুম্বী

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গতকাল অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণ অভ্যুত্থান ও আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে আমরা একটি অন্তর্বর্তী সরকার পেয়েছি। এই সরকারের কাছেই দেশের মানুষের আশাআকাক্সক্ষা আকাশচুম্বী। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রত্যাশা তারা একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করে নির্বাচন দেবে। যাতে করে সত্যিকার অর্থে আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত করতে পারি।

গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণসভায় বক্তব্যকালে এ কথা বলেন। স্মরণসভার আয়োজন করে বিএনপি। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব, সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন প্রমুখ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে আমরা স্বাধীন হয়েছি, কিন্তু চারদিকে নাগিনীদের বিষাক্ত নিঃশ্বাস। তারা তাদের চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্নভাবে আমাদের মাঝে বিভেদ তৈরির জন্য পাঁয়তারা করে যাচ্ছে।

শুক্রবার গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জিলানীর ওপর হামলা ও সংগঠনটির ক্রীড়া সম্পাদক দিদারকে শহীদ করা হয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পরিষ্কার করে বলতে চাচ্ছি এখনো হায়নারা (আওয়ামী লীগ) লুকিয়ে আছে, যে কোনো সময় আক্রমণ করবে। হায়নাদের আক্রমণকে আমাদের প্রতিহত করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের জন্য এ দেশের মানুষ সবসময় আত্মত্যাগ ও প্রাণ দিয়েছে। ’৭১-এ যখন আমরা স্বাধীন হলাম, তখন ভেবেছিলাম সত্যিকার অর্থে আমরা একটা প্রকৃত গণতান্ত্রিক দেশ পাব। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, যারা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের দাবিদার ছিলেন সেই আওয়ামী লীগের হাতেই গণতন্ত্র প্রথম ধ্বংস হয়। ’৭৫ সালে তারা একদলীয় বাকশাল কায়েম করে।

ফখরুল বলেন, স্যালুট জানান বেগম খালেদা জিয়াকে, গণতন্ত্রের প্রশ্নে তিনি কখনো আপস করেননি, মাথা নোয়াননি। দীর্ঘ ছয় বছর কারাগারে ছিলেন। ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তিনি মুক্ত হয়েছেন। সেই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও অভিবাদন জানান তিনি।

এর আগে দুপুর আড়াইটা থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে পূর্ব ঘোষিত সমাবেশে অংশ নিতে শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সমাবেশে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ভিজে নেতা-কর্মীরা কর্মসূচির প্রাঙ্গণে অবস্থান করেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগানে সমাবেশ প্রাঙ্গণ মুখরিত করে তোলেন। এর আগে কর্মসূচিতে অংশ নিতে দুপুরে ব্যানার ও ফেস্টুন সহকারে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে শুরু করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সমাবেশের শুরুতে আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা। আন্দোলন দিনগুলোর ভয়াবহ হামলার চিত্র মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরেন অভিনয় শিল্পীরা। সবশেষে দলীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে স্মরণসভার সমাপ্তি হয়।

সর্বশেষ খবর