সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা
ড. ইফতেখারুজ্জামান

নতুন বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দল অপরিহার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দল অপরিহার্য

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ ও নতুন প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছে, সেই চেতনার ধারক হিসেবে এখন নতুন রাজনৈতিক দলের অপরিহার্যতা রয়েছে। এ নতুন রাজনৈতিক দল কখন হবে, কীভাবে হবে, কারা নেতৃত্ব দেবে সেটি এখন বিষয়। তবে সেখানে আমাদের সব মানুষকে সম্পৃক্ত হতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে যুক্ত হতে হবে। গতকাল ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস-২০২৪ উপলক্ষে ‘নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন : তরুণদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় মূল আলোচক হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ২০২৪-এ?? এসে যেন ’৭১ বা ’৯০-এর পুনরাবৃত্তি না হয়। এ অবস্থায় এসে যদি আপনারা সবাই সহযোগিতা না করেন তাহলে হয়তো আমরা সঠিক পথে থাকতে পারব না। স্বপ্ন, প্রত্যাশা নিয়ে ’২৪-এর আন্দোলন হয়েছিল, তা সবার চেষ্টায় সফল হয়েছে। আর এখন ’২৪-এর আন্দোলন-পরবর্তী সময়ের পথচলায় যেমন একজন রিকশাচালককে সম্পৃক্ত করতে হবে তেমনি মিরপুরে যে গৃহকর্মী ছাত্রদের শরবত বানিয়ে খাইয়েছিল তাকেও সম্পৃক্ত করতে হবে। তারা যে কারণে ছাত্রদের আন্দোলনের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছিল, তাদের যে চাওয়াটা যেন আমরা ভুলে না যাই। এ সবকিছুর জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমরা ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করছি, আমরা কিন্তু কোনো অথরিটি না। আমাদের কাজকে আরও সুন্দর করতে আপনাদের সহযোগিতা, পরামর্শ, গাইড করার খুব প্রয়োজন। আমাদের তারুণ্য এমন যে, এটাকে আপনি যে কোনো শেপ (রূপ) দিতে পারেন। আমাদের শেপ দেওয়া যায়, গাইড করা যায়। ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশের যে চেতনা ও প্রত্যাশা তা পূরণে নতুন রাজনৈতিক দল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণ টেকসই করতে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে, অন্যথায় তা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে নিজেদের দায়িত্ব নিতে হবে। শুধু বললে হবে না, এ পরিস্থিতি হচ্ছে কেন, এসব ঘটনা ঘটছে কেন, তাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সবাইকে যুক্ত হতে হবে। তিনি বলেন, যারা সামনে নির্বাচনে অংশ নেবেন, ক্ষমতায় যাবেন, তারা যদি দলবাজি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি করেন, যা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, তাহলে আমাদের অনেক শঙ্কা ও উদ্বেগের কারণ রয়েছে। বিষয়টি তাদের মনে রাখতে হবে। তা না হলে আপনারা নিজেদের ওই ফ্যাসিবাদের জায়গায় উপস্থাপন করবেন এবং একইভাবে আপনাদের পতন হবে। পাশাপাশি আমরা সিভিল ও মিলিটারি আমলাতন্ত্র ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও বলব, শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফ সোহেল, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব। এ ছাড়া উন্মুক্ত আলোচক হিসেবে অংশ নেন গণমাধ্যমকর্মী ও উপস্থাপক ফারাবি হাফিজ, কথাসাহিত্যিক সাদাত হোসাইন, রম্যলেখক ও গণমাধ্যমকর্মী শিমু নাসেরসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সর্বশেষ খবর