সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের কাছে পরিসংখ্যানগত তথ্যের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি তৈরি, কর আহরণে অটোমেশন চালু এবং আর্থিক খাত সংস্কারে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। গতকাল উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের                 কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত দেশ বিনির্মাণে বিশ্বব্যাংকের দক্ষতার প্রয়োজন। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করতে সম্মত হন। 

সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন, পরিবেশ, বন্যা মোকাবিলা এবং স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশেকে ঋণ সহায়তা বাড়ানোর জন্য কান্ট্রি ডিরেক্টরকে ধন্যবাদ জানিয়ে শারমীন এস মুরশিদ বলেন, বিগত ১৫ বছরের অপশাসন থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আমরা নতুন যাত্রার সূচনা করেছি। ধ্বংসাবশেষ থেকে আমাদের নতুন কাঠামো তৈরি করতে হচ্ছে। ছাত্রদের যে স্বপ্ন রয়েছে তা পূরণে মনোযোগ দিতে হবে।

আবদুলায়ে সেক বলেন, বিশ্বব্যাংক চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশকে সহজ শর্তে ঋণ এবং মঞ্জুরি দেবে। যত দ্রুত সম্ভব জরুরিভাবে আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে, এমন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তারা। চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জন্য ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের নতুন অর্থায়ন করতে পারবে। বিশ্বব্যাংক বিদ্যমান সম্পর্ক জোরদার ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী।

তিনি আরও বলেন, ঢাকার বিভিন্ন এলাকার দেয়ালে তরুণদের আঁকা গ্রাফিতি ও ম্যুরাল দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন এবং ছাত্রদের ক্ষমতায়ন করতে হবে বলে জানান আবদুলায়ে সেক।