খেলাপি ঋণ আদায়ে কার্যকর অর্থঋণ আদালতের দাবি জানিয়েছেন ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করে এ দাবি জানিয়েছেন তারা। এ সময় গভর্নর বলেছেন, অর্থঋণ আদালত কার্যকর করতে প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে বসবে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএবির চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, রোমো রউফ চৌধুরীসহ ২২টি ব্যাংকের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা এক অডিও বার্তায় বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রণীত পলিসিতে বিএবি এবং এবিবিকে অংশীজন করার অনুরোধ করেছেন ব্যাংক মালিকরা। সিদ্ধান্ত নিতে তাদের মতামত নেওয়ার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে গভর্নর অংশীজনদের পরামর্শ মাথায় রেখে করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন। মুখপাত্র বলেন, বিএবির দাবি ছিল খেলাপি হওয়ার পর রিট করে তা থেকে বের হওয়ার যে সংস্কৃতি এটা বন্ধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে এনপিএল রেগুলেটরি চেঞ্জ করতে হবে। এতে একমত পোষণ করেছেন গভর্নর। অর্থঋণ আদালতে সম্পদ বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন বাধা রয়েছে জানিয়ে বিএবি নেতারা বলেন, এগুলো দূর করতে হবে। এ বিষয়ে গভর্নর বলেছেন, অর্থঋণ আদালতকে কার্যকর করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের সঙ্গে বসবে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রয়োজনে কী কী কাজ করতে হবে সেটাও বাংলাদেশ ব্যাংক করবে। হুসনে আরা শিখা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যে সব পলিসি বাস্তবায়ন করে সেগুলো বাংলাদেশের সংস্কৃতি মাথায় রেখে করার প্রস্তাব দিয়েছে বিএবি। গভর্নর বলেন, এগুলো আন্তর্জাতিক নীতিমালা অনুসরণ করে করা হয়। দেশে যারা ব্যাংক ব্যবসা করেন তাদের আন্তর্জাতিক মানে যেতে হবে, বলেন গভর্নর। মুখপাত্র বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোর জন্য তারল্য সহায়তায় বাংলাদেশ ব্যাংক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেগুলো যেন দ্রুত নেওয়া হয়। ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য আলাদা গাইডলাইন এবং আলাদা বিভাগ খোলার দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে গভর্নর কোনো মন্তব্য করেননি। এ ছাড়া এমডি ও কর্মকর্তাদের বেতন নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ বাতিল চেয়েছে বিএবি। গভর্নর বলেছেন, ধীরে ধীরে এটা ব্যাংকের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।