বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রধান বিচারপতির ১২ দফা নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান বিচারপতির ১২ দফা নির্দেশনা

সহজভাবে জনগণকে সেবা দেওয়া এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বচ্ছতা জবাবদিহি নিশ্চিতে ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। গত ১৮ সেপ্টেম্বরের এ ১২ দফা নির্দেশনা নোটিস আকারে গত মঙ্গলবার জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। গতকাল এ ১২ দফার কপি গণমাধ্যমের হাতে আসে। বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে ৩৮টি এবং আপিল বিভাগে ১৯টি শাখা রয়েছে। একজন রেজিস্ট্রার জেনারেল, তিনজন রেজিস্ট্রার, চারজন অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, একজন স্পেশাল অফিসার, ১২ জন ডেপুটি রেজিস্ট্রার, ২০ জন সহকারী রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন কোর্ট ও শাখায় মোট ২৫০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। এদের মধ্য থেকে কর্মরত সহকারী রেজিস্ট্রার হতে তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের কনফারেন্স কক্ষে ১৮ সেপ্টেম্বর ১২ দফা নির্দেশনা দেন প্রধান বিচারপতি। নির্দেশনাগুলো হলো- এক. দায়িত্ব পালনে কোড অব কন্ডাক্ট যথাযথভাবে পালন করতে হবে। দুই. দায়িত্ব পালনকালে কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেন সম্পূর্ণভাবে বর্জন করতে হবে। তিন. সেবাগ্রহীতাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেবা নিশ্চিত করতে হবে। চার. সেবা প্রদানের সময় কোনো বিলম্ব সম্পূর্ণ পরিত্যাজ্য করতে হবে। পাঁচ. সেবাগ্রহীতাদের কোনো প্রকার হয়রানি করা যাবে না। ছয়. সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে সহানুভূতিশীল আচরণ করতে হবে। সাত. প্রতিটি শাখায় প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন সম্পন্ন করতে হবে এবং কোনো কাজ পেন্ডিং রাখা যাবে না। আট. প্রত্যেক শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রারদেরকে তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখাসমূহে প্রতিদিন সরেজমিনে মনিটর করতে হবে। নয়. প্রত্যেক শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রারগণ তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখার কার্যক্রম সম্পর্কে স্ব স্ব অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারদেরকে (শেখ মো. আমিনুল ইসলাম, আপিল বিভাগ, মুহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন এবং আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী, হাই কোর্ট বিভাগ) নিয়মিত অবহিত করতে হবে। দশ. এই মনিটরিং কার্যক্রম ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু। এগারো. প্রতি চার সপ্তাহ পর পর অতিরিক্ত রেজিস্ট্রারগণ মনিটরিং কার্যক্রমের প্রতিক্রিয়া ও ফলাফল আপিল বিভাগ ও হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের নিকট রিপোর্ট করবেন। বারো. যদি কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী আচরণবিধি এবং উপরিউল্লিখিত নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনো সেবাগ্রহীতাকে হয়রানি করেন বা আর্থিক লেনদেন করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর