শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার - হাফিজউদ্দিন আহমদ

নির্বাচন এক বছরের মধ্যে হওয়া উচিত

শফিউল আলম দোলন

নির্বাচন এক বছরের মধ্যে হওয়া উচিত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি নির্বাচন কমিশনে দক্ষ, যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের প্রতিস্থাপিত করে যত শিগগির সম্ভব একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি, আগামী ৯ মাস থেকে এক বছরের মধ্যেই এ সরকারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়া উচিত। প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের জন্য এটা যথেষ্ট সময়। এর চেয়ে বেশি সময় নিলে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জনপ্রিয়তা হারাবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি গণ অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন।

মেজর হাফিজউদ্দিন আহমদ বলেন, অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে বহু তরুণ-যুবকের আত্মদানের বিনিময়ে দেশটি দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হয়েছে। একটা সুযোগ এসেছে জনগণের কাছে- নিজেদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করার। এটিকে গণ অভ্যুত্থানও বলতে পারেন, বিপ্লবও বলতে পারেন। আমরা বিপ্লব বলতেই অভ্যস্ত। কিন্তু প্রফেসর ইউনূস এবং আর দু-একজন ছাড়া কারও মধ্যেই আমরা বিপ্লবের চরিত্রটা দেখতে পাচ্ছি না। এদের বেশ কয়েকজন অতীতে শেখ হাসিনার সরকারকে সাহায্য করেছেন। ওয়ান-ইলেভেনের সরকারেও ছিলেন। সুতরাং তারা যে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়তে যাবেন- এ ব্যাপারে অনেকের মধ্যেই সন্দেহ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ সরকারের কার্যক্রম অত্যন্ত স্লো, একেবারে শ্লথ গতিতে তারা এগোচ্ছেন। এ ছাড়া শেখ হাসিনার সরকারের সময় প্রশাসনের প্রত্যেকটি স্তরে যারা অতীতের সরকারকে সহযোগিতা করেছে-তারাই এখনো বিদ্যমান। ফলে বিপ্লবের কোনো ফল আমাদের চোখে পড়ছে না। এমনকি সামরিক বাহিনীতে একই অবস্থা বিরাজ করছে। জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, তারা এক দিন বিএনপির সঙ্গে জোটসঙ্গী হয়েই নির্বাচন করেছে। আজ তারা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। নিজের দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিএনপির বদনাম হয়- এমন কোনো কাজ যাতে কারও দ্বারা না হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, অনেকের মধ্যেই গণতন্ত্রের প্রতি কিছুটা অনীহা বা অনাগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা ধরে নিয়েছেন যে, তারা বছরের পর বছর বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের সংস্কারের নামে ক্ষমতায় থেকে যাবেন। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের কোনো আগ্রহ তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। যার প্রমাণ এই যে কুখ্যাত নির্বাচন কমিশন গত কয়েকটি নির্বাচনের নামে যে প্রহসন মঞ্চস্থ করেছে- তাদের সরানো হলেও- একটি দক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন এখনো আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এই অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের কার্যক্রমেও নানা সমন্বয়হীনতা দেখা যাচ্ছে। ইলিশ রপ্তানির ব্যাপারে নানা রকমের মন্তব্য শোনা যাচ্ছে। সংবিধান সংস্কারের ব্যাপারেও আমরা বিভিন্ন মত দেখতে পাচ্ছি। এসব ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর-যারা প্রধান স্টেকহোল্ডার তাদের সঙ্গে আলোচনার কোনো আগ্রহ তাদের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি না। এসবই আমরা একটি অশনিসংকেত বলে মনে করি।

এক প্রশ্নের জবাবে মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ বলেন, ইতোমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের দ্বারা সৃষ্ট সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। এটিকে কঠিনভাবে মোকাবিলা করা এখনো সম্ভব হচ্ছে না বলে আমরা মনে করি। যারা গত ১৬ বছরে নানা অন্যায়-অবিচার করেছে-ব্যাংকের অর্থ লুট করেছে, গুলি করে মানুষ মেরেছে, বিদেশে টাকা পাচার করেছে- তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। কেবলমাত্র গ্রেপ্তার আর পুলিশি রিমান্ডে নিলেই তো আর শাস্তি হয় না। প্রধান অর্থ লোপাটকারী এস আলমের বিরুদ্ধে হাই কোর্টকেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জানতে হচ্ছে- নির্দেশ দিতে হচ্ছে যে, কী পরিমাণ টাকা তিনি রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে পাচার করেছেন? যারা সরকারের দায়িত্বে বা প্রশাসনে আছেন- বা দুদকে আছেন- তারা আগ্রহ করে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। বর্তমান সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের মনে হচ্ছে যে- সরকারের প্রশাসন যন্ত্র স্থবির হয়ে আছে। যারা এতদিন আওয়ামী লীগ সরকারকে ১৬ বছর ধরে দুধ-কলা খাইয়ে পুষেছেন- তারা সবাই বহাল তবিয়তে নিজ নিজ অবস্থানেই রয়েছেন। যার একটা উদাহরণ হলো- বায়তুল মোকাররমের খতিব দুই মাস পালিয়ে থাকার পর গোপালগঞ্জ থেকে লোকজন নিয়ে আবারও দখল করার চেষ্টা করেছেন। এই যে দখলের চেষ্টার উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন- এতে বোঝা যায় যে- এটি একটি দুর্বল সরকার। এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে তিনি আবার রাজধানীর মতো স্থানে পূর্বের জায়গায় স্থায়ী হতে পারেন- এ ধরনের চিন্তা যে তার মনে এসেছে- সেটিতে উৎসাহ জুগিয়েছে এ সরকারের নিষ্ক্রিয়তা। এমনকি আনসারের মতো বাহিনী অভ্যুত্থান করতে চাচ্ছে। তার মানে এদের যারা নিবৃত করবে- তাদের মধ্যে দৃঢ়তার অভাব রয়েছে। এ ধরনের ‘এটেম’ নিতে সাহস পাচ্ছে- ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা বিষয়ে খেতাবধারী এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, আরেকটি জিনিস আমার খুবই খটকা লাগে যে, এই আন্দোলনে যে ৫ শতাধিক যুবক চোখ হারিয়েছেন, সহস্রাধিক মানুষের অঙ্গহানি হয়েছে- তাদের ব্যাপারে এই অন্তর্বর্তী সরকার এখন পর্যন্ত কিছুই করছে না। তবে আমি ধন্যবাদ জানাই, চীন থেকে একদল চিকিৎসক এসে নিজ উদ্যোগে চিকিৎসার কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু এটা তো যথেষ্ট নয়। আমার মনে হয়, সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল এই ছাত্র ও জনতার মধ্যে যাদের অঙ্গহানি ঘটেছে- তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে সহযোগিতার ক্ষেত্রে। আজকে একটি দুঃসংবাদ হলো- বগুড়ার এক যুবক চিকিৎসায় অবহেলার কারণে মারা গেছে। তার শরীরে ৪৮টি গুলি ছিল। গুলিবিদ্ধ হওয়ার ৫০ দিন পর সে শরীরে গুলি নিয়ে বগুড়াতেই মৃত্যুবরণ করেছে। তাকে তো আরও উন্নত চিকিৎসা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। এ ঘটনাটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মনে আলোড়ন সৃষ্টি করে কি না জানি না। তবে দেশের সাধারণ মানুষের মনে খুবই কষ্ট লেগেছে। এ ধরনের মৃত্যু তো আমরা কামনা করি না। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে এবং শিল্পাঞ্চলে আওয়ামী লীগ কিংবা তাদের প্রভুদের সৃষ্ট বিপ্লব প্রতিহত করার যেসব ষড়যন্ত্র কিংবা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে- এর বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার মতো সাহস কিংবা ইচ্ছা এই উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের আছে কি না- এ নিয়ে দেশবাসীর মনে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এই যে প্রশাসনের দুশ্চরিত্রের লোকেরা আগের চরিত্রেই বহাল রইল এবং শেখ হাসিনার দোসর ব্যক্তিরা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে- এদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিতে পারছে না উপদেষ্টা পরিষদ- এটি নিয়ে আমরা চিন্তিত এবং তাদের প্রকৃত মনোভাব জানার চেষ্টা করছি আমরা।

বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক আরও বলেন, এই বিপ্লব ব্যর্থ হোক এটা আমরা কেউ চাই না। প্রফেসর ইউনূসের প্রতি আমাদের জনসমর্থন রয়েছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও বলেছেন যে, আমরা এ সরকারকে ব্যর্থ হতে দিতে পারি না। কিন্তু এই সরকারের বিপ্লবী চরিত্র সম্পর্কে এখন জনমনে অনেক সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। এদের বেশির ভাগই এই বিপ্লবে অংশগ্রহণ করেনি। অনেকটা পশ্চাৎপদ এবং হয়তো পতিত সরকারের প্রতি এখনো তাদের কিছুটা সহানুভূতি রয়েছে। বর্তমান এই পরিস্থিতির মধ্যেও আশার আলো হলো- প্রফেসর ইউনূস নরমাল এয়ারলাইনসে ছোট্ট একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে জাতিসংঘ অধিবেশনে গেছেন। পতিত সরকারের প্রধানের মতো বিরাট লটবহর নিয়ে ইউরোপ হয়ে তারপর আমেরিকায় যাননি। রাষ্ট্রের সম্পদের প্রতি তার যে মায়া-দয়া আছে এটি লক্ষ্য করে দেশবাসী উৎসাহিত হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান হিসেবে বিশেষ বৈঠকে বসেছেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট সম্মান। আমি আশা করি- স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে সবসময়ই আমেরিকা বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে। বিশেষ করে- অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে। যাতে করে আমাদের অর্থনীতি আবার মেইনট্রেকে আসে এবং জনগণ এই অভ্যুত্থানের ফল ভোগ করতে পারে। সেই ধরনের পদক্ষেপ আমরা বন্ধুরাষ্ট্র থেকে আশা করি। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের চোখে পড়েছে- ভারতের গুজরাটে মুসলিম নিধনের চার্জশিটভুক্ত আসামি অমিত শাহ- সে দেশের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী- তিনি বাংলাদেশিদের উল্টো করে গাছের মধ্যে ঝুলাবেন বলে সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এর প্রতিবাদও জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতি তাদের যে মনোভাব- সেটি তার এই বক্তব্যে ফুটে উঠেছে। ভারতীয়রা এখনো ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি। তাদের এই মনোভাবের কারণেই প্রত্যেকটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে চলে গেছে। এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমেই তারা গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের সম্পর্কে তিনি যে কথাটি বলেছেন- বাংলাদেশের নিরস্ত্র জনগণ হেলিকপ্টার গানশিপ কিংবা আরমার মারণাস্ত্রের সামনে যেভাবে বুক পেতে দিয়েছে- নিরস্ত্র জনতা ট্যাংক বাহিনীকে মোকাবিলা করেছে- এটি দেখে অমিত শাহ গংদের শিক্ষা নেওয়া উচিত যে এই জাতিকে কেউ কোনো দিন পদানত করতে পারবে না। বাংলদেশে লড়াকু ছাত্র-জনতা প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে কখনো আপস করবে না। এজন্য সব ত্যাগ স্বীকার করার জন্য সমগ্র জাতি প্রস্তুত রয়েছে। এখনো সময় আছে তাদের কথাবার্তায় লাগাম টানা উচিত। তাদের সঙ্গে আমরা সুসম্পর্ক কামনা করি। তারা তাদের মতো সুখে থাকুক। আমরাও আমাদের মতো থাকি। আমাদের দেশ আমরাই গড়ে তুলতে পারব। এ নিয়ে তাদের মাথা ঘামানোর কোনো প্রয়োজন নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামে, গোপালগঞ্জে কিংবা অন্য কোথাও কোনো ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী কোনো তৎপরতা যাতে তারা আর না চালায়, সেজন্য তাদের প্রতি অনুরোধ রইল। আরেকটি জিনিস যে, অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ মনে করেন যে তারা আগামী ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকবেন এবং সংস্কার কার্য পরিচালনা করতেই থাকবেন। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলের এবং মানুষের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। এ কথাটি তাদের ভুলে গেলে চলবে না। নির্বাচন কমিশনে দক্ষ, যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের প্রতিস্থাপিত করে যত শিগগির সম্ভব একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে তিনি অনুরোধ জানান। মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি একটি শক্তিশালী দুর্নীতি দমন বিভাগ গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এমন একটা দুর্নীতি দমন বিভাগ হওয়া উচিত যারা প্রয়োজনে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে। এ ছাড়া বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেও দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। পুলিশ বাহিনীকে সংস্কার করতে হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যে ৪৮৭ জন কর্মকর্তা/সদস্য সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছে- তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। দুর্বৃত্তদের আর লালনপালন করার প্রয়োজন নেই। পৃথিবীর কোনো দেশেই বিপ্লবের পরও স্বৈরাচারের দোসররা বসে থাকে না। কিন্তু এখানে এখনো তারা বহাল তবিয়তেই রয়েছে।

সর্বশেষ খবর