শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভারতে গেল ২৫ টন ইলিশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বেনাপোল প্রতিনিধি

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া এবং যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে গতকাল ২৫ টন ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে বেনাপোল হয়ে দুটি চালানের ১৮ টন এবং আখাউড়া দিয়ে পাঠানো হয় ৭ টন ৩০০ কেজি। বুধবার সন্ধ্যার পর ভারতে রপ্তানির উদ্দেশে ইলিশ বোঝাই দুটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছায়। ভারতে রপ্তানির জন্য স্থানীয় মৎস্য অফিসের ছাড়পত্র না পাওয়ায় বুধবার রাতে ট্রাকগুলো ভারতে প্রবেশ করতে পারেনি। গতকাল বেলা ১২টার দিকে খুলনা বিভাগীয় মৎস্য অফিস থেকে মাছ রপ্তানির অনুমতিপত্র বেনাপোল কোয়ারান্টাইন অফিসে পৌঁছানোর পর মাছ রপ্তানির অনুমতি মেলে। এদিকে, গতকাল বিকালের দিকে আরও দুই রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে চারটি গাড়িতে ১০ টন ইলিশ রপ্তানির উদ্দেশে বেনাপোলে এসে পৌঁছে। পরবর্তীতে বেনাপোল কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র গ্রহণের পর মোট পাঁচটি পণ্য চালানের বিপরীতে ১৮ টন ইলিশ প্রতিবেশী দেশটিতে রপ্তানি হলো।

চলতি বছর দেশের ৪৯টি প্রতিষ্ঠান ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদনের জন্য আবেদন করে। সরকার আবেদন যাচাইবাছাই করে ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয়। আগামী ১৩ অক্টোবরের আগেই ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে বলে জানা গেছে।

বেনাপোল কাস্টম হাউসে ইলিশ রপ্তানির কাজ দেখে জানা যায়, প্রতি কেজি ১০ ইউএস ডলারে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। প্রতি কেজি ইলিশের বাংলাদেশি টাকায় রপ্তানি মূল্য দাঁড়াল ১ হাজার ১৮০ টাকা। ১৮ টন ইলিশ রপ্তানি বাবদ সরকারের কোষাগারে ঢুকেছে ১ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ নামক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের বনগাঁ এলাকার আর জে ইন্টারন্যাশনাল নামক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে চুক্তি শর্ত মোতাবেক ১০ মার্কিন ডলার মূল্যে ইলিশ সরবরাহ করছে। বাংলাদেশ লজিস্টিক এবং এমি এন্টারপ্রাইজ নামক সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান রপ্তানি কার্যক্রম তদারকি করছে।

এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ছয়টি ট্রাকে করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মাছগুলো ভারতে পাঠানো হয়। ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, স্বর্ণালী ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রায় চার টন এবং বিডিএস কর্পোরেশন তিন টনের বেশি মাছ রপ্তানি করেছে। এ বন্দর দিয়ে ২০০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানির সম্ভাবনা আছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান খান বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক মাছ রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানির বিপরীতে জমা হওয়া কাগজপত্র দেখে মাছ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর