নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, তবে তাদের প্রেতাত্মারা এখনো বিরাজমান। এখনো নানাভাবে হয়রানি অব্যাহত রেখেছে। এটা দ্রুত বন্ধ হতে হবে। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার : এনজিওদের সহায়তা ভূমিকা’ শীর্ষক এই মতবিনিয় সভা যৌথভাবে আয়োজন করে তথ্য অধিকার ফোরাম ও এনজিও বিষয়ক ব্যুরো। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমিও একসময় তথ্য চেয়ে হয়রানির শিকার হয়েছি। অর্থ পাচারের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে তথ্য চেয়েছিলাম, তথ্য কমিশন আমাদের তথ্য দেয়নি। পরে আদালতে গিয়েছি। গত নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন কীভাবে নিয়োগ হয়েছিল, কোন দল কোন কমিশনারের নাম প্রস্তাব করেছিল- সে তথ্য পাইনি। তথ্য কমিশন বলেছিল- এটা সেনসিটিভ তথ্য, তাই দেওয়া যাবে না। তথ্য অধিকার অবাধ করার বিষয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের মূল মালিক নাগরিক। সেনসিটিভ তথ্যও নাগরিকদের দিতে হবে। নাগরিকদের সক্রিয় হয়ে সেনসিটিভ তথ্য চাইতে হবে। রাজনৈতিক দলেরও তথ্য চাইলে আমরা যেন পেতে পারি- এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক না হলে অবাধ তথ্য অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে না।
