প্রশাসনে বঞ্চিতদের প্রতি ন্যায্যতা নিশ্চিত করার জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের করা সেই কমিটি কাজ শুরুর আগেই কমিটিকে পাশ কাটিয়ে দুজন অবসরে যাওয়া যুগ্ম সচিবকে সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। এতে বঞ্চিত অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে। কমিটির সিদ্ধান্তের বাইরে দুজনকে সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলে সচিবালয়ে আরেকটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে সুপারিশের আগেই বঞ্চিতদের পদায়ন নিয়ে জানতে চাইলে সাবেক অর্থসচিব ও কমিটির চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এটা সরকারের বিষয়। বঞ্চিতদের সুনির্দিষ্ট লিস্ট আছে, কাগজপত্র আছে। আমাদের কাজটুকু শতভাগ ফেয়ার করব এটুকু বলতে পারি। আমরা ওই বিষয়ে এখনো জানি না। জানা গেছে, সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানকে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের বিশেষ কমিটি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই কমিটি আওয়ামী সরকারের শাসনামলে সরকারি চাকরিতে বঞ্চিতদের জন্য কাজ করবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এ কমিটিকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশমালা উপস্থাপন করবে। ইতোমধ্যে এ কমিটির চেয়ারম্যান অন্য সদস্যদের নিয়ে প্রারম্ভিক বৈঠক করেছেন। এদিকে আজ সোমবার বঞ্চিত কর্মকর্তাদের আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে এই কমিটিকে পাশ কাটিয়ে দুজন অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিবকে সিনিয়র সচিব পদে নিয়োগের পাঁয়তারা চলছে। এ দুই কর্মকর্তা হলেন- ৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম মিয়া এবং ৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তা সালেহ আহমেদ। তারা যুগ্ম সচিব হিসেবে অবসরে গেছেন। এ তথ্য বঞ্চিত কর্মকর্তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তাদের মধ্যে আরও ক্ষোভ তৈরি হয়। বঞ্চিত একাধিক কর্মকর্তা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, একটা কমিটিকে পাশ কাটিয়ে এভাবে নিয়োগ দেওয়া হলে প্রশাসনে বৈষম্য আরও বাড়বে। বঞ্চিতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা ভিতরে ভিতরে সংগঠিত হচ্ছেন। সচিবলায়ে ডিসি নিয়োগের মতো আরও একটি নেতিবাচক হট্টগোল পরিবেশ হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন কেউ কেউ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিনিয়তই বঞ্চিতদের আবেদন জমা পড়ছে মন্ত্রণালয়ে। ইতোমধ্যে ৩ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে যারা বঞ্চিত হিসেবে অবসরে গেছেন। সব মিলে আবেদনের সংখ্যা আরও বেশি। আর এ ধরনের আবেদন জমা নেওয়ার শেষ দিন আজই।