বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা

দৃষ্টি দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে

শনিবার শুরু, থাকবেন প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্য উপদেষ্টারাও

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আগামী শনিবার সংলাপ শুরু হবে। এই পর্যায়ের সংলাপে দেশের প্রধান প্রধান দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই সংলাপে অংশ নেবেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতেও রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ নেবে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে দুই দফা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিটিং হয়েছে। এটারই চলমান প্রক্রিয়ায় শনিবার থেকে আবার নতুন দফায় আলোচনা শুরু হবে। দেশের প্রধান প্রধান দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। সংস্কারের লক্ষ্যে যে ৬টি কমিশন গঠন করা হয়েছে, সে কমিশনের কাজের অগ্রগতি অবহিত করা হবে। একই সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে। তাদের পরামর্শ নেওয়া হবে। দু-তিন দিনের মধ্যে প্রস্তাবিত কমিশনগুলো পূর্ণাঙ্গ করা হবে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। তিনি বলেন, এরইমধ্যে কমিশনের প্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কার্যপরিধি চূড়ান্ত হয়েছে। এখন শুধু যারা যারা কমিশনের সদস্য হবেন, তাদের সংযুক্তি বাকি আছে।

সংলাপে কোন কোন রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকা হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম জানান, এটা উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি যেটুকু জানি, প্রধান প্রধান দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। আপনারা শনিবার জানতে পারবেন কাদের ডাকা হচ্ছে।

এক সাংবাদিক জানতে চান, সংলাপের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি শুধু উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত, না-কি সেখানে কোনো প্রেশার গ্রুপ কাজ করছে? এক্ষেত্রে সাধারণ জনগণের মতামত গ্রহণের কোনো সুযোগ আছে কি-না। জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, রেগুলেশন থেকে যে সরকার গঠিত হয়েছে তাকে রিপ্রেজেন্ট করছে উপদেষ্টা পরিষদ। তাঁরা বাংলাদেশের সব জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। ফলে উপদেষ্টা পরিষদ যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে- সেটা জনগণেরই সিদ্ধান্ত। উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, যে কোনো সরকারের অনেক কিছু নিয়ে সমালোচনা হয়। এটা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এভাবেই একটি সরকার যে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে, সেই জনগণের সঙ্গে পুরোপুরি সম্পৃক্ত হয়। তিনি বলেন, যে কোনো বিষয়ে সমালোচনা হতে পারে। কেউই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়।

সংলাপে নির্বাচন অনুষ্ঠান, দিন-তারিখ নির্ধারণের কোনো বিষয় থাকবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই আলোচনা মুলত সংস্কার কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে, যেটা আগেই বলা হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, তিনি মনে করেন না পার্বত্য চট্টগ্রাম অস্থিতিশীল। একজন শিক্ষককে পিটিয়ে মারা হয়েছে; তা নিয়ে কিছু টেনশন সৃষ্টি হয়েছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতি অনেক ভালো বলে দাবি করেন তিনি। বাইরে আলোচনা হচ্ছে- অনেকে (সংস্কার) কমিশনে যোগ দিতে চাচ্ছেন না; সেটাই কমিশন গঠনে বিলম্বের কারণ কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, আমরা আশা করছি দু-তিন দিনের মধ্যে কমিশনগুলো পূর্ণাঙ্গ হবে। যারা যারা কমিশনের মেম্বার হবেন, সেক্ষেত্রে তাদের সম্মতি লাগে, এখন তাদের সম্মতি নেওয়া হচ্ছে। এসব কারণে দু-এক দিন সময় লাগতে পারে।

সর্বশেষ খবর