সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির যৌক্তিকতা আছে বলে জানিয়েছেন এ বিষয়ে সুপারিশ দিতে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।
গতকাল সচিবালয়ে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান কমিটির প্রধান। আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, এই কমিটির প্রধানত একটাই ফোকাস- চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে অনেকদিন ধরে একটি আন্দোলন চলছে। এটার ভিত্তিতে সরকার আমাদের পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছে। আমাদের আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, বয়স বৃদ্ধির দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন তাদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। সরকারের বর্তমান নীতিমালা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে সবকিছু চিন্তা করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। বয়স বৃদ্ধি করার যৌক্তিকতা আছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বয়স বৃদ্ধির যৌক্তিকতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কভিড, সেশনজটে অনেকের সমস্যা হয়েছে। এখনকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা উচিত। তবে কতটুকু বৃদ্ধি করা দরকার, এটা আমি এখনই বলতে পারছি না। আমরা সবকিছু পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব কতটুকু বাড়ানো যায়। এর আগে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আন্দোলনকারী সমন্বয়ক টিমের প্রতিনিধিদের মধ্যে আটজন কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে টিমের পক্ষে রাসেল আল মাহমুদ বলেন, আমাদের কমিটির সঙ্গে আলোচনা ভালো হয়েছে। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ নিয়ে আমরা কথা বলেছি। আমাদের কথা শুনেছেন এই কমিটির স্যাররা এবং আমাদের দাবি যৌক্তিক সেটি বলেছেন।
আমাদের কথাগুলো বিশ্লেষণ করে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে একটি চমৎকার বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। আমরা আশাবাদী একটা যৌক্তিক সমাধান আসবে। উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে অনেকদিন ধরে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকও করেন। পরে ওইদিনই চাকরিপ্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য এ কমিটি গঠন করা হয়। সাবেক সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এ কমিটির আহ্বায়ক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সদস্যসচিব। কমিটিতে সাবেক যুগ্মসচিব কওছার জহুরা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল ও অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সদস্য হিসেবে রয়েছেন।