শেয়ারবাজারে লেনদেনের গতি আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। লেনদেন তলানিতে নামলেও বাজারটিতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে মূল্যসূচক কিছুটা বেড়েছে। আগের কয়েক দিনের দরপতনের কারণে বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা বিএসইসির মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। তার আগে বিএসইসির কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। আবারও দরপতনের শঙ্কা পেয়ে বসে বিনিয়োগকারীদের। তবে লেনদেনের শেষদিকে দাম কমার তালিকা থেকে দাম বাড়ার তালিকায় চলে আসে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। ফলে একদিকে দাম বাড়ার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে মূল্যসূচক বেড়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়। তবে লেনদেন তলানিতেই থাকে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ২০৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৮টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৫০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৪০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ১২৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সব থেকে কম লেনদেন হলো।
শেয়ারবাজারে দরপতনের প্রতিবাদে গতকাল মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পুরাতন ভবনের সামনে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ মানববন্ধন করেন। এরপর তারা আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনের সামনে আসেন। বিনিয়োগকারীদের দাবি, বিএসইসি চেয়ারম্যান না বুঝে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। যার কারণে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তার পদত্যাগ খুবই জরুরি। যার কোনো বিকল্প নেই। বিনিয়োগকারীরা বিএসইসি ভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ করেন। এতে রাস্তায় যানজট তৈরি হয়।