প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা করেছেন গণ অধিকার পরিষদের নেতারা। সেই বৈঠকে ১২ দফা প্রস্তাব দিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ।
গতকাল রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দলটির সভাপতি নুরুল হক নূরের নেতৃত্বে বৈঠকে একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। বৈঠক শেষে সেই ১২টি প্রস্তাব মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেন দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ। প্রস্তাবগুলো হলো- অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের পরিকল্পনা ও রোডম্যাপ প্রকাশ করা, গণহত্যায় জড়িত পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের বিচার এবং রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা, সরকারের কাজের সঙ্গে রাজনৈতিক দল ও জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে আলোচনার মাধ্যমে দক্ষ, কর্মঠ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের পরিসর বাড়ানো, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের আমলে দুর্নীতি-লুটপাট করে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া মাফিয়া-অর্থ পাচারকারী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ১৫ বছরে দেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ১৫ বছরে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত দলবাজ-দুর্নীতিবাজদের অপসারণের পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সরকারি-আধা সরকারি চাকরিতে মেধা ও দক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগের সুস্পষ্ট নীতিমালা তৈরি ও কমিশন গঠন করে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সব নিয়োগ প্রদান, রদবদলের নামে ডিসি এসপিসহ পুলিশ ও প্রশাসনে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ, যুগের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে কর্মমুখী ও গবেষণানির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়নে নতুন শিক্ষা কমিশন গঠন, দুদক পুনর্গঠন করে উপযুক্ত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে শক্তিশালী দুর্নীতি দমন কমিশন করা, যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধাসহ ইউরোপ ও অন্যান্য দেশে গার্মেন্টস ও পণ্য রপ্তানির সুযোগের সৃষ্টিরসহ নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধান করে জিটুজি পদ্ধতিতে বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানো, সিটিজেন চার্টার করে দ্রুত সময়ে সব ধরনের নাগরিকসেবা নিশ্চিত করা, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও সংসদের মেয়াদ চার বছর করা, যেসব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই, সেখানে দূতাবাস সেবা প্রদান ও আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।