বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ছাত্র ও যুবসমাজ কোটা সংস্কারের যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল, সেই আন্দোলন দমানোর জন্য (সাবেক) সরকার এক কুৎসিত পথ অনুসরণ করেছিল। অসংখ্য মানুষের জীবনের বিনিময়ে, হাজারো মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে এবং দেশে ও প্রবাসে একই সঙ্গে লড়াইয়ের বিনিময়ে এই জাতি সাময়িকভাবে মুক্তি পেয়েছে। গতকাল জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের আমির ড. শফিকুর রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত রিপাবলিক অব কোরিয়ার অ্যাম্বাসাডর পার্ক ইয়ং সিক এবং ডেপুটি চিফ মিশন মিস ঝিনহি ব্যাক সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎ শেষে জামায়াত আমির বলেন, বৈঠকে আমরা দুই দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও কীভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সে ব্যাপারেও আমরা উভয়েই আমাদের অভিমত ব্যক্ত করেছি। সাম্প্রতিক আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে কোরিয়া প্রজাতন্ত্র কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, সে বিষয়ে আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। এ ব্যাপারে তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। এই মুহূর্তে তাদের এ সহযোগিতা আমাদের অত্যন্ত মৌলিক প্রয়োজন। কোরিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের সততা ও দক্ষতা দিয়ে আরও কীভাবে অবদান রাখতে পারেন, সে বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি। কোরিয়ায় বাংলাদেশিরা যেন আরও বেশি সংখ্যায় যেতে পারেন, সে ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়েছি। আমাদের আলোচনা অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে, সন্তোষজনক হয়েছে। তারা বাংলাদেশকে আরও সহযোগিতা করবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তাদেরও কিছু কথা ছিল, সেগুলো আমরা মনোযোগ দিয়ে শুনেছি এবং সে জায়গাগুলো আমরা পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছি। আমাদের মনে হয়েছে যে, আমাদের কথায় তারা পুরোপুরি আশ্বস্ত হয়েছেন। এ সফরকালে তারা বাংলাদেশের সমাজ ও সামাজিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন জামায়াত আমির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের ও মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন।