বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে বিসিএস পরীক্ষার মৌখিক নম্বর ইতোমধ্যে ২০০ থেকে ১০০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। বৈষম্য নিরসনে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর আরও কমিয়ে ৫০ করার ভাবনা রয়েছে পিএসসির। গতকাল বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম এ কথা জানান। পিএসসির কাজের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জানাতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কমিশনের বিভিন্ন সদস্য ও সচিব এ সময় উপস্থিত ছিলেন। চেয়ারম্যান বলেন, সরকারি কর্ম কমিশনের কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। বিসিএস পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরও প্রার্থীকে জানিয়ে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বিসিএস পরীক্ষার সিলেবাস যুগোপযোগী করার কাজ চলছে। ৪৯তম বিসিএস থেকে যুগোপযোগী সিলেবাস হবে। অন্য দেশের সিভিল সার্ভিসের সিলেবাস জোগাড় করা হচ্ছে। নতুন সিলেবাস এমন হবে যেন প্রার্থী বিশ্বে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে পারেন। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) হবে শিক্ষার্থীবান্ধব প্রতিষ্ঠান।
৪৬তম বিসিএসের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ প্রসঙ্গে কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, পরীক্ষা বাতিল করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ নেই। সিআইডি ঘটনাটি তদন্ত করছে। যদি কেউ শনাক্ত হয়, তাকে বাতিল করা হবে। চাকরি হয়ে গেলেও বহিষ্কৃত হবেন। পুরো পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিইনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ালেও পিএসসির সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হওয়ার পরামর্শ দেন চেয়ারম্যান। মোবাশ্বের মোনেম বলেন, এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে পিএসসি জট কমিয়ে আনা হবে।