শরীরের বাড়তি কলেস্টেরলের সমস্যা এখন হরহামেশাই দেখা যায়। দেহে খারাপ কলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই হার্ট অ্যাটাকের মতো মারাÍক সমস্যার সম্মুখীন হন। আমাদের অনেকেরই কলেস্টেরল সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক কলেস্টেরল সম্পর্কে কিছু তথ্য
< অনেকের ধারণা কলেস্টেরল শুধু পুরুষের বাড়ে, নারীদের নয়, ধারণাটি পুরোপুরি ভুল। পুরুষের ৪৫ আর নারীদের ৫৫ বছর বয়সের পর এর ঝুঁকি থাকে।
< কলেস্টেরল একটি বংশগত সমস্যা ধারণাটি ঠিক নয়। দৈনন্দিন জীবনযাপনে দেহে কলেস্টেরল সম্পর্ক থাকে, বংশের সঙ্গে নয়।
< অনেকে মনে করেন নিয়মিত ওষুধ খেলে কলেস্টেরল দূর করা সম্ভব। এটিও ভুল ধারণা। জীবনযাত্রায় যদি পরিবর্তন না আনেন তাহলে কলেস্টেরলের সমস্যা কখনোই দূর হবে না।
< কলেস্টেরল মানেই খারাপ বলে অনেকেই মনে করেন। কিন্তু কলেস্টেরলের দুটি ভাগ রয়েছে। ভালো কলেস্টেরল এবং খারাপ কলেস্টেরল, যাকে মেডিকেলের ভাষায় বলা হয় এলডিএল এবং এইচডিএল।
< কলেস্টেরল কম থাকা শরীরের জন্য ভালো এ বিষয়টিও ভ্রান্ত ধারণা। খারাপ কলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকা ভালো হলেও ভালো কলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকা ভালো নয়। এতে করে আপনি ইনফেকশনে ভুগতে পারেন।
< অনেকেই আছেন কলেস্টেরলের মাত্রা কমে গেলে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন। আসলে এটা অনেক বড় বোকামি। কলেস্টেরলের জন্য আপনাকে সবসময়েই ওষুধ খেয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গে জীবনযাপনে কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে।
< কলেস্টেরলের সমস্যা শুধু মোটা মানুষেরই হয়ে থাকে এটিও ভুল ধারণা। চিকন মানুষেরা যদি খারাপ কলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করেন তাহলে তাদের উচ্চ কলেস্টেরলের সমস্যা দেখা দেবে।
< কলেস্টেরল শুধু খাবারের কারণেই বাড়ে তা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কলেস্টেরল আপনা আপনি দেহে উৎপন্ন হয়, যা নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম এবং জীবনযাপনে ছোটখাটো ব্যাপারগুলোর কারণে বোঝা যায় না। যখনই আপনি শারীরিক পরিশ্রম কমিয়ে দেবেন দেহের কলেস্টেরল বাড়তে থাকবে।