শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

আইনবিদের মুখোমুখি

দিলরুবা শারমীন, আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী

আইনবিদের মুখোমুখি

সমস্যা

আমার বাবার দুই স্ত্রী। দুজনই মৃত। প্রথম মায়ের ঘরে ১১ সন্তান। দ্বিতীয় মায়ের ঘরে ৭ সন্তান। ১৯৭১ সালে আমাদের বাবার মৃত্যুর আগে তার কোনো সম্পদ বা সম্পত্তিই আমাদের কারও মাঝেই বণ্টন করে যাননি। এমন কি আমরা কোনো ভাইবোন বা মায়েরা জানতামই না যে, আমাদের পিতার কোন কোন জায়গা, ব্যাংকে কত টাকা আছে বা তার কারও কাছে কোনো দেনা বা পাওনা আছে কিনা? এরপর দিনে দিনে এই সম্পদ বা সম্পত্তি নিয়ে আমাদের মাঝে ক্রমশই ঝামেলা বেড়েছে। এখন দেখছি আমাদের বাদ দিয়েই আমাদের সৎ ভাইবোনেরা আমাদের পিতার যেসব সম্পত্তির হিসাব-নিকাশ পেয়েছেন সবকিছুই তাদের নামে লিখে নিয়েছেন, নাম জারি করেছেন, রেকর্ড করেছেন এবং সেখানে তারা বসবাসও করছেন। এমন কি তারা কিছু সম্পত্তি বিক্রিও করেছেন।  এমতাবস্থায় আমরা তিন ভাইবোন কী আইনি পদক্ষেপ নেব?                        -শাহনেওয়াজ, খুলনা।

 

সমাধান

একটি বাস্তব কথা বলি, কিছু মনে করবেন না। আপনাদের পিতা ভুল করেছেন ও আপনারা সেই ভুলের রেশ টেনেই যাচ্ছেন। এই চরম বাস্তবতা আমরা মেনে নেই না বলেই আজ আপনাদের সবার এই করুণ পরিণতি। যা হওয়ার তা হয়ে গেছে, এখন যা করতে পারেন তা হলো, যে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে ভাইবোনেরা একসঙ্গে বসুন। আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের সম্পদ ও সম্পত্তির সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করুন। যদি আপসে মীমাংসা না হয় সেক্ষেত্রে আপনারা আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন। প্রথমত আপনাদের ওয়ারিশন সার্টিফিকেটটি বের করুন। তারপর বের করতে চেষ্টা করুন আপনাদের পিতা কী কী সম্পদ বা সম্পত্তি রেখে গেছেন তার হিসাব ও তালিকা এবং কাগজপত্র। সেসব সম্পত্তি কার কার দখলে আছে তাও বের করুন। সেসব কাগজপত্রসহ একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সঙ্গে বসুন। তিনি  সঠিক দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ দেবেন। আপনারা রেকর্ড সংশোধনের ব্যবস্থা, নাম জারির ব্যবস্থা করে আগে আপনাদের পৈতৃক সম্পত্তিতে নিজেদের আইনগত  অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন।  সবাই মিলে বণ্টনের ব্যবস্থা করুন। যদি না মানে তবে আপনাদের সৎ ভাইবোনদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ‘সিভিল ও ক্রিমিন্যাল’ মামলা করবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর