শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

মনোবিদের মুখোমুখি

অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ

মনোবিদের মুখোমুখি

সমস্যা

আমি সাধারণ পরিবারের মেয়ে। একটি প্রাইভেট ভার্সিটিতে তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছি। আমাকে নিয়ে বাবা-মা’র অনেক স্বপ্ন। পড়াশোনা শেষ হলে একটি শিক্ষিত ছেলে দেখে বিয়ে দেবেন। ভার্সিটিতে যাওয়ার পর ফেসবুকে একটি ছেলের সঙ্গে পরিচয় হয়। ছেলেটির বয়স ২৭ এবং আয়ারল্যান্ডে পড়াশোনা করে। ফেসবুকে ছেলেটি আমাকে প্রপোজ করে। আর আমিও মজার ছলে হ্যাঁ করি। কনভারসেশন করতে করতে তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ি। ছেলেটি পড়াশোনা শেষ করেনি বলে জানায়। তার এ কথা শুনে আমি চিন্তায় পড়ে যাই। আসলে ভিসা জটিলতার কারণে সে লন্ডন থেকে আয়ারল্যান্ডে চলে আসে। তার সঙ্গে ভবিষ্যৎ নেই বলে সে আমাকে ভুলে যেতে বলে। কিন্তু ততদিনে আমি ওর প্রতি অনেক দুর্বল হয়ে পড়ি। প্রায় দুই বছর হয়েছে আমাদের সম্পর্ক। ওর পরিবার আর্থিকভাবে আমাদের চেয়ে অনেক ভালো। ওর পরিবার আমার কথা জানে। আমি ওকে কথা দিয়েছি ওর পাশে থাকব। আবার ভয়ও হচ্ছে আমার পরিবারকে নিয়ে। কারণ ও হয়তো পড়াশোনা শেষ করতে পারবে না। আমরা দুজন দুজনকে অনেক ভালোবাসি। এখন আমার কী করা উচিত?                       -আনিলা অরিন, পরীবাগ।

 

সমাধান

বর্তমান সময়ের ছেলেমেয়েদের মধ্যে এ সমস্যাটি অনেক বেশি। ফেসবুকেই তারা একে অন্যের জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করে। আদতে বিষয়টি মোটেও সম্ভব নয়। দু-একটি ব্যতিক্রম ঘটনা দেখা যায় বটে কিন্তু অধিকাংশ ঘটনাই বিপরীত ঘটে। ফেসবুক বা মোবাইলে সম্পর্কের ক্ষেত্রে মনে হয় অনেক কাছের সম্পর্ক, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যোজন যোজন দূরত্ব থেকে যায়। আপনি বলেছেন ছেলেটির পরিবার বিষয়টি জানে। কিন্তু কতটা চেনে জানে বা আপনাকে তারা ঘরের বউ হিসেবে কতটা পছন্দ করে সেটা উলে­খ করেননি। বিষয়টি আবেগের নয়। বাস্তবতার। আবেগের কারণে আপনার মনে হচ্ছে সম্পর্কটা গভীর, তাকে ছাড়া থাকতে পারবেন না ইত্যাদি। কিন্তু একবার চোখ খুলে বাস্তবে ফিরে আসুন। এর পরও যদি আপনার মনে হয় তাকে আপনার দরকারই আর সেও আপনাকে ততটাই ভালোবাসে তাহলে বিষয়টি নিয়ে আরেকবার ভাবুন। কাছের কোনো আত্নীয় মামা বা দুলাভাই থাকলে তার সঙ্গে কথা বলুন।  গোপনীয়তা বজায় রেখে আলোচনা করুন। দেখবেন সমাধান বেরিয়ে আসবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর