শিরোনাম
শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

শীতের বাড়তি যত্ন

শীতের বাড়তি যত্ন

মডেল: আয়েশা

শীত তো প্রায় চলেই এলো! শীতে নানা প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে কিছুটা বিড়ম্বনাও। শীত শীত আমেজে সব ধরনের ত্বকই রুক্ষ হয়ে পড়ে। ত্বকের যত্নে ক্রিম, ময়েশ্চারাইজার ও লোশনের পাশাপাশি প্রয়োজন পড়ে বাড়তি যত্নের। এ ছাড়াও চুল রুক্ষ হওয়া, ঠোঁট শুকিয়ে ফেটে যাওয়াসহ আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। যত যাই হোক না কেন, একটু সচেতন হলেই সবকিছু চলে আসবে আপনার নিয়ন্ত্রণে।


শীত এখনো পুরোপুরি পড়েনি। আর শীতের দাপটে তরুণ-তরুণী সবাইকে সাময়িক বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তবে,  ছেলেদের ত্বক মেয়েদের তুলনায় বেশি কর্কশ হওয়ায় ছেলেরাই একটু বেশি ঝামেলায় পড়েন। তবে, উভয় ক্ষেত্রেই গোসলের পর শীতের দিন তাদের ত্বক প্রচণ্ড রকমের শুকিয়ে যায়। মুখ ধোয়ার পর টানটান চামড়ার ধকল অনেকেই কাটাতে পারেন না। আবার ক্রিম মাখলে অতিরিক্ত চটচটে হয়ে যায় ত্বক। এ সময়ে ছেলেমেয়ে সবারই খেয়াল রাখা উচিত সঠিক ক্রিম আর লোশন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে। কিন্তু অনেক সময় সঠিক লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করেও ঠিকঠাক প্রাণবন্ত আর স্বাভাবিক ত্বক পাওয়া যায় না সামান্য কিছু ভুলের কারণে। তাই শীতে ত্বককে রুক্ষতা থেকে বাঁচাতে মানতে হবে কিছু টিপস!

 

 

০. কুসুম গরম পানিতে গোসল করুন। পানি খুব বেশি গরম বা ঠাণ্ডা হওয়া যাবে না।

০. ছেলেদের শেভের পর ক্রিম লাগাতে হবে। অবশ্যই এ ক্ষেত্রে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন।

০. যদি রোদে বেশিক্ষণ থাকার প্রয়োজন পড়ে তাহলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। প্রতিদিন সকালে ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। ব্রণ ও তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অয়েল কন্ট্রোল ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।

০. লোশন ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে না বেরোনোই ভালো। ব্যবহারের কিছুক্ষণ পর যাতে ত্বকের সঙ্গে লোশন মিশে যায়।

০. শীতকালীন সবজি বেশি বেশি খান। পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

০. শীতে ত্বকের সুরক্ষায় ভেষজ প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তবে প্যাক লাগাতে না চাইলে টমেটো, কমলালেবু বা শসার মতো জিনিস লাগানো যেতে পারে।

০. ধুলাবালির কারণে ত্বকের সজীবতা কমে যায়। তাই ত্বকের জন্যই ফ্রুট ফেসিয়ালই আদর্শ। এ ক্ষেত্রে আপেল, অরেঞ্জ, পাপায়া ও অ্যালোভেরা ফেসিয়াল ব্যবহার করতে পারেন।

০. গোসলে ময়েশ্চারাইজিং সাবান ব্যবহার করুন। রাতে ঘুমানোর আগে ৪ ভাগের এক কাপ দুধে এক চামচ মধু ও এক চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মুখে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর হবে।

০. কনুইয়ে খসখসে ভাবটা দূর করার জন্য খানিক পরপর কনুইয়ে গরম ভাঁপ দিতে পারেন। এ ছাড়া এক টুকরা লেবুর সঙ্গে চিনি লাগিয়ে কিছুক্ষণ কনুইতে ঘষুন। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।

০. ঠোঁট ফাটা প্রতিরোধে অবশ্যই লিপজেল ব্যবহার করুন। ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না। তবে এ ক্ষেত্রে পানির বিকল্প কিছু নেই। পান করতে হবে প্রচুর পানি। ঠোঁটে কালো দাগ থাকলে গ্লিসারিন ও লেবুর রস লাগান। ঠোঁটকে উজ্জ্বল, নরম ও আকর্ষণীয় করে তুলতে  গ্লিসারিন, মধু ও গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক করে ৩-৪ মিনিট ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন।

০. শীতে অনেক সময় শরীরে ফুসকুড়ি ওঠে। এ জন্য নিজেকে উষ্ণ রাখুন। উলের কাপড় পরার সময় ভিতরে গেঞ্জি পরুন। গোসলে হালকা লিকুইড অ্যান্টিবায়োটিক মিশিয়ে নিন।

০. পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়াটা একটা বড় সমস্যা। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গোসলের সময় গোড়ালি প্রতিদিন ঘষুন। ব্যবহার করুন লোশন ও গ্লিসারিন। প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিসেবে পায়ে লাগাতে পারেন কমলালেবুর খোসা বাটা, বুটের ডাল, কাঁচা হলুদ ও চন্দনের প্যাক।

শীতে কেবল ত্বক নয়, চুলের ওপরও বাজে প্রভাব পড়ে। আর এই রুক্ষ ও ফেটে যাওয়া চুল থেকে বাঁচতে কিছু টিপস!

০. ঘুমানোর আগে চুলে হালকা গরম তেল লাগান। অলিভ অয়েল হলে ভালো হয়। তবে তেল যেন বেশি গরম না হয়।

০. অলিভ অয়েলের সঙ্গে আরও ভালো ফলাফল পেতে মিশিয়ে নিতে পারেন আমলকীর একটা টুকরাও।

০. শীতে শ্যাম্পু ব্যবহারের পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। 

০. এ সময় চুলের অন্যতম সমস্যা হলো খুশকি। খুশকি থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজনে সপ্তাহে দুই দিন খুশকি নাশক শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। খুশকি খুব বেশি হলে টকদই ও সমপরিমাণ পানির মিশ্রণ ৩০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন। মধু, পাকা কলা, ডিম ও চায়ের লিকারের মিশ্রণও চুলের জন্য খুব উপকারী।

০. খুব রোদে চুল শুকাবেন না। রোদ আর ধুলোবালি-ময়লা থেকে বাঁচতে ক্যাপ বা স্কার্ফ পরুন।

০. হেয়ার ড্রায়ার ও চিকন দাঁতের চিরুনি এড়িয়ে চলুন। চুল কখনোই ভেজা অবস্থায় আঁচড়াবেন না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর