শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

নূপুরের ছন্দে...

নূপুরের ছন্দে...

সাজসজ্জার অন্যতম অনুষঙ্গ নূপুর। রমণীদের পছন্দ আর ভালো লাগার অলঙ্কার। ফ্যাশনে নতুনত্ব আনার জন্য নূপুরের কোনো বিকল্প নেই। লিখেছেন- তানিয়া লস্কর

দিনযাপনের নিয়মে পাল্টে যায় সময়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাশনেও আসে নতুনত্ব। মানুষের রুচিবোধ আর ভালো লাগার মিশেলে সাজসজ্জার বহুবিধ পরিবর্তন এসেছে। তবে কিছু উপকরণ এখনো রয়ে গেছে সবার পছন্দের তালিকায়। সেরকমই একটি ফ্যাশন উপকরণ নূপুর। ফ্যাশনের অনুষঙ্গে নূপুরের ব্যবহার এখনো রমণীদের মন জয় করে আছে। হাল ফ্যাশনে রমণীদের সাজসজ্জায় টিকে আছে নূপুরের অস্তিত্ব। তবে প্রচলিত ফ্যাশনে নূপুরের ডিজাইনেও এসেছে পরিবর্তন। অতীতে মেয়েরা আলতা রঙে পা রাঙ্গাতে যেমন ভালোবাসত, তেমনি নূপুরের মৃদু শব্দকেও ভালোবাসত। সেই অতীতের মতো এখনো তরুণীরা নূপুরের মৃদু শব্দ ভালোবাসে। নূপুরের শব্দে প্রিয়জনকে নিজের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানান দিত।

 নূপুর পছন্দ করেন না এমন রমণী খুবই কম। অনেক রমণী আছেন যারা সব সময়ই নূপুর পড়তে পছন্দ করেন। নূপুর যে রমণীদের রূপ-সৌন্দর্যকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফ্যাশনে নতুনত্ব আনার জন্য পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে নূপুর পরতে পারেন। বাঙালি ফ্যাশনে তো আছেই, ওয়েস্টার্ন ফ্যাশনেও নূপুরের ব্যবহার রয়েছে। এ জন্য আপনাকে ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে নূপুর পরতে পারেন। নূপুরের ডিজাইন আর বৈচিত্র্যেও রয়েছে রকমফের ঢঙের বাহার। বাজারে হরেক রকমের নূপুর রয়েছে। প্রকৃতিপ্রেমীরা কড়ি, ঝিনুক, শামুক দিয়ে বানানো নূপুর পরতে পারেন। নিজেকে সবার মাঝে অনন্যা করে তুলতে এ ধরনের নূপুরের জুড়ি নেই। আবার নিজেকে বাঙালিয়ানা সাজে সাজাতে সোনা বা রুপার নূপুর বেছে নিতে পারেন। আর যাদের সোনার নূপুরে আগ্রহ নেই কিন্তু পছন্দের রঙটি সোনালি, তারা রুপার নূপুরে সোনার চকচকে প্রলেপ দেওয়া নূপুর বেছে নিতে পারেন। তবে শাড়ির সঙ্গে চওড়া কারুকাজের নূপুরই বেশি মানানসই। ফ্যাসনে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সব সময় নিজের পছন্দকে প্রাধান্য দিন। কোন নূপুরটিতে আপনাকে ভালো লাগবে তা নিজেই বাছাই করে নিন। বর্তমানে নূপুরের ক্ষেত্রে হরজিয়াস লুকটাকেই সবাই প্রাধান্য দিচ্ছে। চকচকে পাথরের কারুকাজের নূপুরই সবচেয়ে বেশি চলছে। পাথরের রং আর ডিজাইনেও রয়েছে ভিন্নতা। পাথরের কারুকাজের নূপুরে খুব সহজেই তারুণ্যে উচ্ছলতা ফুটে ওঠে। তাই তো কিশোরী ও তরুণীদের প্রথম পছন্দই হলো পাথরের নূপুর। নূপুর যে শুধু পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে পরতে হয় তা কিন্তু নয়। নূপুর পরার ক্ষেত্রে জুতার দিকেও এই সঙ্গে লক্ষ্য রাখতে হবে। খেয়াল রাখবেন, সব ধরনের জুতার সঙ্গে কিন্তু নূপুর মানানসই নয়। খুব বেশি হাই হিল বা একেবারেই ওয়েস্টার্ন মডেলের জুতার সঙ্গে নূপুর একেবারেই যায় না। সাধারণ জুতা বা লো হিলের সঙ্গে বেশ মানানসই। ফ্লিপ-ফ্লপ ধরনের জুতার সঙ্গে নূপুরের সখ্য বেশি, তাই এ ধরনের জুতার সঙ্গে নূপুর বেশ মানানসই। নূপুর পরতে গেলে নূপুরের কিছু যত্নও নিতে হবে। অন্তত সপ্তাহে একবার হলেও নূপুর পরিষ্কার করতে হবে। যেহেতু নূপুর পায়ে থাকে আর পায়েই বেশি ধুলাবালি লাগে। তাতে করে আপনি আপনার পছন্দের নূপুরটি অনেক দিন ব্যবহারও করতে পারবেন। যে কোনো ক্লিনার যেমন তরল সাবান বা ডিটারজেন্টে ৫-১০ মিনিট নূপুর ভিজিয়ে রাখলেই আপনার নূপুরটি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ, কিছু কিছু মেটাল দিয়ে তৈরি হওয়া নূপুর পানিতে ভিজালে নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে যেন নূপুরে পানি না লাগে। এ ধরনের নূপুরগুলো তুলি বা ব্রাশ দিয়েই পরিষ্কার করা যায়।  হাতের গহনা যেমন চুড়ি, তেমনি পায়ের গহনা নূপুর। আপনার সুন্দর পাকে সাজাতে জুড়ি নেই এই নূপুরের।  স্নিগ্ধ সকালের ভেজা ঘাসে বা ক্লান্ত বিকালের মলিন ঘাসে পড়বে এক জোড়া পা, যেখানে থাকবে এক পায়ে নূপুর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর