শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
জেনে রাখুন

হাঁপানি নিয়ে কু-সংস্কার

ফ্রাইডে ডেস্ক

হাঁপানি নিয়ে কু-সংস্কার

আমাদের দেশে হাঁপানি নিয়ে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকে কুসংস্কারে ডুবে থাকেন। অনেকে আছেন না জেনেই এক গাদা ওষুধ সেবন করেন, যা শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। হাঁপানি হলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এ জন্য প্রয়োজন সাবধানতা অবলম্বন ও সতর্কতা। নিতে হবে প্রতিষেধমূলক ব্যবস্থা।

একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রতি বছর হাঁপানির মাধ্যমে প্রায় এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। এই রোগের রোগীকে বায়ু দূষণ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। মূলত বায়ু দূষণের কারণেই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ রোগী। একটি চিকিৎসাবিষয়ক ওয়েবসাইটে হাঁপানি নিয়ে প্রচলিত কয়েকটি ভুল ধারণা উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা আজ প্রচলিত সব ভুল ধারণা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।

শুধু শিশুদেরই হয় : অনেকের ধারণা, শৈশবেই বেশির ভাগ হাঁপানি ধরা পড়ে কথাটা একেবারেই ভুল নয়। তবে, অনেকের কিন্তু চলি­শ বছর বয়সেও এই রোগ ধরা পড়ে। মেনোপোজের সময়ও প্রথমবার হাঁপানি ধরা পড়তে পারে অনেক নারীর। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর সঙ্গে হরমোনজনিত সম্পর্ক থাকতে পারে।

রোগটি মারাÍকিছু নয় : হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট অনেকেই খুব সাধারণভাবে নিয়ে থাকেন। মনে করেন এটি তেমন কোনো সমস্যাই নয়। তবে এক তৃতীয়াংশের বেশি হাঁপানি রোগীর মারাÍক সংক্রমণের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা থাকে। পাঁচ শতাংশ রোগীর এতটাই বেশি সমস্যা থাকে যে, তারা প্রায় সময় শ্বাসকষ্টে ভোগেন।

ছোঁয়াচে রোগ নয় : অনেকের ধারণা রোগটি ছোঁয়াচে রোগ। ধারণাটি ভুল, হাঁপানি কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। তবে, অনেকের বংশানুক্রমে রোগটি বহন করে থাকে। এই ভুল ধারণা রোগীকে শুধু আশাহতই করে না, রোগীকে মানসিকভাবেও অনেক কষ্ট ভোগায়।

ব্যায়াম করা যাবে না : অনেকেই বলেন, হাঁপানি হলে ব্যায়াম এড়িয়ে চলতে। কথাটি মোটেও ঠিক নয়। নিয়মিত ব্যায়াম ফুসফুসের কার্যক্ষমতা ভালো রাখে এবং শান্ত থাকতে সাহায্য করে। অর্থাৎ সংক্রমণের মাত্রা কমে আসে অনেকটাই। তবে ঠাণ্ডা বা দূষিত বাতাস কিংবা পরাগরেণুর কারণে যদি হাঁপানি বেড়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে তাহলে ঘরের বাইরে ব্যায়াম করা উচিত হবে না। আর ব্যায়াম শুরু করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিন। কারণ, ব্যামায়ে হাঁপানির কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।

হাঁপানি রোগী সব সময়ই হাঁপায় : কিছু হাঁপানি রোগী মোটেই শ্বাস নেওয়ার সময় হাঁপানো বা শোঁ শোঁ শব্দ করে না। বুকে কফ জমে যাওয়া কিংবা রাতে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়াও হাঁপানির উপসর্গ হতে পারে।

শ্বাসকষ্ট হলে শুধু ইনহেলারই যথেষ্ট : হাঁপানি রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা মানে শ্বাসকষ্ট হলেই ইনহেলার বা ‘নিরামক’ ব্যবহার করা নয়। রোগীর উচিত হবে দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা দূরে রাখতে প্রতিষেধক ব্যবস্থা রাখা এবং ভবিষ্যতে শ্বাসকষ্ট এড়ানোর চেষ্টা করা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর