শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

মনোবিদের মুখোমুখি

‘আপনাকেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে’

অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল মনোরোগ বিশেষজ্ঞ

মনোবিদের মুখোমুখি

সমস্যা

আমার বয়স ২৪ বছর। একটি প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে বিবিএ করছি। পরিবারের একমাত্র মেয়ে বলে ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের অনেক আদরে বড় হয়েছি। আমার বাবা একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। বাবা-মায়ের আদরে কোনো দিনও ঘরের কাজ করতে হয়নি। তাই ঘরের কাজ করার তেমন অভ্যেস নেই। এমনকি আমি রান্নাও করতে পারি না। এমন অবস্থায় বছর খানেক হলো আমার বিয়ে হয়েছে। শ্বশুরবাড়ি আর্থিকভাবে মোটামুটি ভালো। কাজ না পারা সত্বেও যতটুকু পারি কাজ করার চেষ্টা করি এবং পড়াশোনাও চালিয়ে যাচ্ছি। আমার স্বামীও খুব একটা ভালো না। ও সব সময় বাবা-মার কথা শুনে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। ওর বাবা-মা’র কথা শুনে আমাকে ডিভোর্স দিতে চায়। ও আমার কোনো খরচ দেয় না। আমার পড়াশোনার খরচ আমার পরিবার দেয়। আমার পরিবার কখনো আমার স্বামীকে এসব নিয়ে ছোট করে না। কিন্তু আমি কাজ পারি না বলে আমাকে কথা শোনায়। আমার স্বপ্ন ছিল একটি সুন্দর সংসার। কিন্তু এখন আমি কি করব?

                                                                                       - অনন্যা শারমিন, ঢাকা।

সমাধান

আপনারা কিভাবে বিয়ে করেছিলেন বিষয়টি ক্লিয়ার করেননি। আপনি কি নিজের পছন্দেই বিয়ে করেছিলেন! কোনো পরিবার তার মেয়েকে আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারে বিয়ে দিতে চান না। বলে রাখা ভালো, আপনার মতো সমস্যায় অসংখ্য মেয়ে ভুগছেন। তবে, বিয়ের পর স্বামী কেন খরচ বহন করবেন না এটা বুঝতে   পারলাম না। এবার মূল কথায় আসি, নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনি কি আপনার স্বামীকে ভালোবাসেন কিনা! তারপর সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন এ সম্পর্কটিতে কি করতে চান! যদি ভালোবেসে থাকেন তাহলে স্বামীকে ভালো করে বোঝান। ভালোবাসার সম্পর্ক সবকিছুকেই সহজ করে দিতে পারে। আপনি আপনার স্বামীকে ভালোবাসা দিয়ে নিজের করে নিন। আপনার স্বামীকে বোঝান, আপনি ষড়যন্ত্রের স্বীকার হচ্ছেন। যেহেতু কাজের দুর্বলতা রয়েছে তাই সংসারের প্রতি আগ্রহী হোন। সংসারের হাল ধরতে শিখুন। তবে, পড়াশোনা বাদ দিয়ে নয়। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুন। আপনার শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। আর যদি মনে করেন, এই সংসার করবেন না, তবে আপনার পরিবারের সঙ্গে কথা বলুন। অবশ্যই সমাধান বেরিয়ে আসবে। ভালোবাসা না থাকলে সংসার অর্থহীন।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর