শিরোনাম
শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বালিশ-কুশন কেয়ার...

সাদিয়া সারা

বালিশ-কুশন কেয়ার...

ছবি : ইন্টারনেট

সারা দিনের ক্লান্তি শেষে আমাদের আরামের ঠিকানা বিছানা। তাই তো পরিপাটি বিছানা নিয়েই যত ভাবনা। সারা বছর নতুন নতুন চাদর আর বালিশ-কুশনের কভার কিনে নিলেও তা বদলে ফেলার কথা ভাবি না। তাই রইল পরামর্শ...

 

সারা দিনের ক্লান্তি শেষে আরামের ঠিকানা একটাই, বেডরুম। বিছানা নিয়ে আমরা যতটা যত্নবান, বালিশ-কুশনের যত্ন সেভাবে নেওয়া হয় না। অথচ অপরিষ্কার বালিশ রোগ-জীবাণুর বাসা। প্রতিদিন ঘাম, মৃতকোষ, হাঁচি বা কাশি থেকে আসা ব্যাকটেরিয়া সবই জমা হচ্ছে বালিশে। তাই বালিশ-কুশনের যত্ন মাস্ট।

 

কী করবেন

ধুলোময়লা, ঘামের হাত থেকে বালিশ পরিষ্কার রাখতে চেইন সিস্টেমের বালিশের কভার ব্যবহার করতে পারেন। এতে ময়লা কম হবে। অন্যথায় বালিশে দুটো কভার ব্যবহার করলেও চলবে। এতে বালিশের ফেব্রিক্স পরিষ্কার থাকবে। সপ্তাহে অন্তত একবার বালিশের কভার বদলে ধোয়া এবং পরিষ্কার কভার ব্যবহার করুন। মাথায় খুশকি হলে কিন্তু চুলের সঙ্গে বালিশও পরিষ্কার রাখতে হবে। যেদিনই শ্যাম্পু করবেন সেদিন বালিশের কভারও বদলে ফেলুন। না হলে খুশকি বারবার ফিরে আসবে আপনার বালিশে। নিত্যদিনের ব্যবহারের বালিশের জন্য সুতির কভার বেছে নিন। মাসে অন্তত একবার প্রতিটি বালিশ ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করুন। ঘুমে অনেকের সারা রাত বালিশ ঘামে ভিজে যায়। সেক্ষেত্রে ড্রায়ারে ৫-১০ মিনিট লো হিট তাপমাত্রায় বালিশ শুকনো করে নিন। তুলার তৈরি বালিশ সপ্তাহে একদিন রোদে দিন। বালিশ নরম থাকবে। ৩-৪ বছর পরপর লেপ-তোশক তৈরির দোকানে নিয়ে বালিশের তুলা বদলে নিন। বালিশের কভার ধোয়ার পর এমনভাবে শুকাতে দিন যেন ভালো করে আলো হাওয়া চলাচল করতে পারে। কভার তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে। বাচ্চাদের বালিশের কভার পরিষ্কারে কয়েক ফোঁটা অ্যান্টিসপেটিক লিকুইড দিয়ে নিন। একই বালিশ বছরের পর বছর ব্যবহার করবেন না। এতে বালিশের তুলা শক্ত ও শেপ খারাপ হয়ে যায়। এ রকম বালিশ ব্যবহারে ঘাড়ব্যথা অবারিত। ব্যবহারের উপযুক্ত কিনা তা বোঝার ক্ষেত্রে বালিশ দুই পাশ থেকে ধরে ভাঁজ করে ছেড়ে দিন। যদি বালিশ আবার আগের শেপে ফিরে আসে তাহলে বুঝবেন তা এখনো ব্যবহারের উপযুক্ত। না হলে বুঝবেন নতুন বালিশ বানিয়ে নিন। বালিশ স্টোর করতে প্লাস্টিকের ব্যাগে বালিশ পুরে আলমারিতে স্টোর করুন। এমনটি না পারলে সুতির চাদরে বালিশ মুড়ে আলমারিতে বা বক্স খাটে স্টোর করুন।

 

কুশনের যত্ন

বিছানায় বা সোফার রঙিন কুশন সাজিয়ে রাখলে দেখতে বেশ ভালো লাগে। তবে যাচ্ছেতাই কুশন ফেলে রাখলে অচিরেই ময়লা হয়ে যাবে। একসঙ্গে অনেক কুশন চেপে জড়ো করে রাখবেন না। কুশনের ভাঁজ কমে যায়। এ জন্য দুই-তিন সেটে কুশন কিনে রাখতে পারেন। মাঝে-মধ্যে বদলে নিন। সব সময় ফোমের কুশন ব্যবহার করুন। বালিশের মতো কুশনের তুলাও মাঝে মাঝে বদলে ফেলুন। কুশনের শেপ কমে গেলে বাড়তি তুলা ভরে নিন। তবে ঘুমানোর জন্য কুশন ব্যবহার করাবেন না। কুশন কভারে ভারি কাজ হলে ড্রাই ওয়াশ করিয়ে নিন। কুশন পশমের হলে ড্রাই ক্লিন করুন। তবে, ভ্রাকুয়াম ক্লিন করাবেন না। নষ্ট হয়ে যাবে। প্রিন্টেড কুশন কভারগুলো বাড়িতেই পরিষ্কার করে নিতে পারেন। আর হ্যাঁ, চেইন সিস্টেমের কুশনের থেকে বোতাম সিস্টেমের কুশন ভালো।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর