শিরোনাম
শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

শীতে ত্বকের সানস্ক্রিন

উম্মে হানি

শীতে ত্বকের সানস্ক্রিন
O বাইরে বেরোনোর আগে সানস্ক্রিন লাগান।
O বের হওয়ার আধা ঘণ্টা আগে সানস্ক্রিন লাগান।
O মুখ ও শরীরের জন্য আলাদা সানস্ক্রিন বেছে নিন।

 

শুধু গ্রীষ্মকালেই নয়, শীতকালেও সানস্ক্রিনের ব্যবহার সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সূর্যের ক্ষতিকারক আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ঋতুভেদে সারা বছর একই থাকে। আর এই ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের ডারমাল লেয়ার এ পৌঁছে ত্বককে কালো করে ফেলে। এ ছাড়া সুইমিং কিংবা ঘেমে যাওয়ার পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করা আবশ্যক। শীতকাল বলে একে অবহেলা করা মোটেও ঠিক হবে না বলে বিশেষজ্ঞদের মত। তবে, সানস্ক্রিন-সংক্রান্ত কিছু নিয়ম কখনোই বদলানোর নয়। যেমন এসপিএফ নিদেনপক্ষে ৩০ বা এর ওপর হওয়া চাই। কসমোলজিস্টদের মতে, সানস্ক্রিনে যত বেশি এসপিএফ থাকে, আপনার ত্বক তত বেশি প্রোটেকটিভ থাকে।

সাম্প্রতিককালে নতুন এক ফর্মুলা দেখা গেছে,  সানস্ক্রিনের সঙ্গে মিশিয়ে নেওয়া হচ্ছে ত্বকবান্ধব সব অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয় আরও কার্যকরভাবে। সাধারণত ভিটামিন সি এবং ই সানস্ক্রিনের সঙ্গে বেশি মেশানো হয়। যা ত্বককোষের ওপর সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব তো পড়তেই দেয় না। এমনকি ত্বকের নানা সমস্যা সারিয়ে তুলতেও সহায়ক হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া নানা প্রাকৃতিক উপাদান থেকেও তৈরি হচ্ছে সানস্ক্রিন। যাতে থাকে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। সূর্যমুখী ফুল নির্যাস থেকে তৈরি সানস্ক্রিন ত্বকে ফ্রি র‌্যাডিকেল রশ্মির প্রভাব পড়তে দেয় না। রোজমেরি ফুলের নির্যাসেও উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এটি ত্বকে ফ্রি র‌্যাডিকেলের উপদ্রব দমন করে। ত্বককে রক্ষা করে অকালে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে। এ ছাড়া অ্যাভোকাডোর নির্যাসে থাকে ভিটামিন এ, ডি এবং ই এর মতো শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। তাই এ থেকে তৈরি সানস্ক্রিন সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব সারাইয়ে সাহায্য করে ত্বককে।

বাজারে হরেক রকম ফর্মুলা আর এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিনের স্তূপ থেকে নিজের পছন্দসই এবং প্রয়োজনীয়টা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সামান্য কৌশলী হওয়া চাই। অনেকেরই হয়তো জানা, সানস্ক্রিন মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে- ফিজিক্যাল ও কেমিক্যাল। আপনার ত্বকের ধরন বুঝে বেছে নিন প্রয়োজনীয়টা। এ ছাড়া কেনার সময় বোতল বা টিউবটা উল্টে নিয়ে এর উপাদান তালিকা দেখে নিন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর