ডিসেম্বর মানেই উৎসব। বড়দিন, শীতকালীন ছুটি আরও কত কিছু! এ সুযোগ হারানো ঠিক হবে না। ঘুরে আসুন রাজধানীর বাইরে কোথাও। চলে যান প্রকৃতির কাছে। নদী, পাহাড়, সাগর, অরণ্য, জলাভূমির শীতল হাওয়া একটু গায়ে লাগিয়ে আসুন। কিন্তু ভ্রমণে যাওয়ার আগে কিছু প্রস্তুতি আছে। কিছু সরঞ্জামাদি আছে যা সঙ্গে না নিয়ে গেলে বিপদে পড়তে হতে পারে।
প্রথমেই আসি পোশাক বাছাইয়ে। পর্যটনস্থানের আবহাওয়া বুঝে পোশাক নির্বাচন করুন। পাহাড়ে ওঠা, বিশ্রাম, সিঁড়ি বেয়ে ওঠার কাজে আঁটসাঁট পোশাকে একেবারেই বেমানান। তাই তো চাই মানানসই পোশাক এবং কত দিনের ভ্রমণে যাবেন সে অনুযায়ী ব্যাগ প্যাক করুন। প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ গুছিয়ে নেওয়া যায় এমন ব্যাগ নিন। মোবাইল, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, ইলেকট্রিক রেজারসহ প্রযুক্তিগত এই জিনিসগুলোর একটা তালিকা তৈরি করে সেই অনুযায়ী ঝটপট ব্যাগপ্যাক করে নিন। এ ছাড়া ক্যামেরা, ল্যাপটপের জন্য পানিরোধক কাভার নিতে পারেন। সঙ্গে ল্যাপটপ, মোবাইল চার্জার, পাওয়ার ব্যাংক ইত্যাদি নিতে ভুলবেন না।
ভ্রমণ মানে হালকা সাজ। তাই সঙ্গে রাখুন হালকা টাচ আপের জন্য হালকা মেকআপ টুলস এবং সাজের সঙ্গে মানানসই হালকা অলঙ্কার। যেহেতু ভ্রমণ কোনো অনুষ্ঠান নয়, তাই ভারী অলঙ্কার বাড়িতে রেখে যাওয়াই ভালো। এ ছাড়া হাঁটাহাঁটি বা দৌড়াদৌড়ির কাজটি আরামে করা যায় এমন জুতো বেছে নেওয়া উচিত। ভ্রমণে ফ্যাট, কেডস বা স্নিকার ব্যবহার ভালো। আর সৈকতে প্লাস্টিকের স্যান্ডেলের বিকল্প নেই।
আসল জিনিসগুলো গোছানো শেষ। কিন্তু টুকিটাকি আরও কিছু না নিলেই নয়। রোদের তাপ থেকে রক্ষা পেতে সঙ্গে রাখুন সানগ্লাস ও হ্যাট। এ ছাড়া টুথপেস্ট, ব্রাশ, শাওয়ার জেল, ময়েশ্চারাইজ লোশনসহ বিভিন্ন টয়লেট্রিজ এবং প্রসাধনসামগ্রী। তবে সবচেয়ে দরকারি হলো ওষুধ। তাই সঙ্গে ছোট একটি ফার্স্ট এইড বক্স রাখুন। এ ছাড়া মশা নিধনকারী স্প্রে, হালকা খাবার এবং মিনারেল ওয়াটার সঙ্গে রাখুন।
যারা একটু অ্যাডভেঞ্চার পাগল তাদের ব্যাগপ্যাকের ক্ষেত্রে কিছুটা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এমন ভ্রমণপিপাসুদের ভ্রমণে দুই কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ, ঋতু উপযোগী তাঁবু, বান-পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে রেইন কোট, স্লিপিং ব্যাগ, লাইফ জ্যাকেট, গামবুট, ড্রাই ব্যাগ (মোবাইল ও ল্যাপটপ রাখার জন্য) ইত্যাদি সঙ্গে রাখতে পারেন।