রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সংস্কৃতিতে বিভাজন থাকলে কোনো দিনও উন্নয়ন হবে না

গাজী মাজহারুল আনোয়ার গীতিকার, চলচ্চিত্রকার

সংস্কৃতিতে বিভাজন থাকলে কোনো দিনও উন্নয়ন হবে না

গান দিয়ে দেশকে উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করা যায়। আজ গানের ক্ষেত্রে প্রাপ্তি নিয়ে কথা উঠেছে, হতাশা দেখা দিয়েছে। কিন্তু গানের হিসাব হয় অনুভূতি দিয়ে, প্রাপ্তি দিয়ে নয়। পৃথিবীর অনেক শিল্পীর পরিচয়ে দেশের পরিচয় পাওয়া যায়। তাহলে আজ আমাদের দেশের শিল্পীদের কেন দৈন্যদশায় পড়তে হবে। এটি সত্যিই দুঃখজনক। আরেকটি ব্যাপার হলো, দেশে রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতা থাকতেই পারে। না হলে গণতন্ত্র থাকবে না। কিন্তু আমাদের দেশে দুঃখজনক ব্যাপার হলো, শিল্পীদের মূল্যায়ন করা হয় কে কোন দলের তা দিয়ে। সংস্কৃতিতে বিভাজন থাকলে এর উন্নয়ন হবে না। বিবেচ্য বিষয় হতে হবে কাকে দিয়ে উন্নয়ন হবে। আমাদের সংস্কৃতির স্বকীয় ঐতিহ্য রয়েছে। সংস্কৃতি হচ্ছে ক্লিনজারের মতো, আত্মার খোরাক। এখন গান আর ছবি পাইরেসি হয়। এটি নিয়ে শিল্পীদের কেন ভাবতে হবে। সরকার এসব ক্ষেত্র থেকে রাজস্ব পায়। তাই এই ভাবনার দায়িত্ব সরকারের। শিল্পী হওয়া কঠিন বিষয়। প্রচুর পড়াশোনা ও চর্চা দরকার। গানের দৈন্যতা এখন শুধু অর্থে নয়, সুর আর কথার মধ্যেও সুস্পষ্ট। এখন নাকি গানের জন্য গলার দরকার হয় না। যন্ত্র দিয়েই গাওয়া সম্ভব। এখনকার সংগীতকাররা কেন আমাদের ওয়াশ আউট করতে পারছেন না! টিভির লাইভশোতে ৮০ ভাগ গানই আমাদের থাকে। ভারতে এখনো একুইস্টিক ব্যবহার হয়, বিশ্বে গান দিয়ে চিকিৎসাও হয়। কিন্তু তেমন গান এখন কেন হচ্ছে না। সরকারি অনুষ্ঠানে শিল্পীদের অন্তর্ভুক্তি নেই। এটিও দুঃখজনক। বেঁচে থাকতে অনেক শিল্পীকে মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়া হয়। দুস্থ হিসেবে সাহায্য দেওয়া হয়। শিল্পীদের ভিখারি বানানো বন্ধ করতে হবে। নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা যাতে সমৃদ্ধ হতে পারে সেই ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর