রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সংগীতে সংকট সমাধানে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা দরকার

নঈম নিজাম সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

সংগীতে সংকট সমাধানে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা দরকার

এক সময় দেশের গ্রামে গ্রামে গানের আসর বসত। বাউল ও লোকগানের আসরগুলো বেশ জমজমাট হতো। সেই ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। এখন আর তেমন দেখা যায় না। জেলা শহরগুলোতেও গানের ও নাচের আসর বসে না। এটা বড় একটি দৈন্যতা। আর এই দৈন্যতা সংস্কৃতিকে রুগ্ন করছে। আগে গ্রামে কৃষকের হাতে রেডিও থাকত। সে জায়গায় এখন হাতে হাতে মোবাইল পৌঁছে গেছে। গ্রামের সাধারণ মানুষও ফেসবুক ব্যবহার করে। প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংগীতের প্রকাশ মাধ্যমেও নতুনত্ব এসেছে। তবে প্রযুক্তি ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করতে হবে। প্রযুক্তির নেতিবাচক ব্যবহারে আণবিক বোমা তৈরি হয়েছে। সংগীত স্বত্ব ও পাইরেসির ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ। মোবাইল কোম্পানির মাধ্যমে গান প্রকাশ ও এ নিয়ে জটিলতা সমাধানের বিষয়টি চিন্তা করা দরকার। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বেতারকেন্দ্রের গান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা জুগিয়েছে। গান মানুষের মানবিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলে। মানুষ যত সংগীতের কাছ থেকে দূরে চলে যাবে মানুষের তত মানবিকতা কমবে। সংগীতে বর্তমান সংকটের অনেকগুলো কারণ রয়েছে। সংগীতশিল্পী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে সাংবাদিকদের মাঝেও দলবাজি চলছে। পেশাজীবীদের এই দলাদলি বিভক্তি তৈরি করে। শিল্পীরা রাজনৈতিক দলাদলিতে জড়িয়ে পড়লে শ্রোতাদের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা কমবে। সংগীতাঙ্গনের এই সংকট মেটাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একটি প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে সমস্যা সমাধানে কাজ করতে হবে। এ জন্য দরকার একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা। নীতিমালার মাধ্যমে জায়গাগুলো ঠিক করা হলে সংকট কমবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর