রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সবাই হেলিকপ্টারে চড়ে হিমালয়ের চূড়ায় পৌঁছাতে চান

কুমার বিশ্বজিৎ সংগীতশিল্পী

সবাই হেলিকপ্টারে চড়ে হিমালয়ের চূড়ায় পৌঁছাতে চান

সংগীতের বর্তমান সংকট শুধু অর্থনৈতিক নয়। নতুন প্রজন্মের জন্যও এটি একটি বড় সংকট। সংগীতের ভবিষ্যৎ নিয়ে কেউ ভাবে না। স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমরা সংগীত সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কোনো কার্যকর সংগঠন গড়তে পারিনি। আমরা নিজেরাই একটি প্ল্যাটফর্মে দাঁড়াতে পারিনি। আমাদের সমস্যার সমাধান কোথা থেকে আসবে? এখনো এ গ্রেডের শিল্পীদের সম্মানী ৬ হাজার টাকার বেশি নয়। আপনি তাকে পয়সা দেবেন না, একজন শিল্পী সৃষ্টি করবেন কীসের আশায়? এ ছাড়া সংগীত প্রচারের মাধ্যমের পরিবর্তন এসেছে। একই সঙ্গে প্রযুক্তির নেতিবাচক ব্যবহার বাড়ছে। এখন যার একটি ভালো স্টুডিও আছে সে নিজেই গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক হয়ে ওঠেন। এমন প্রকৃত সংগীতশিল্পী কয়জন আছেন, যারা নিজেরা গান লিখতে পারেন, তৈরি করতে পারেন? সবাই হেলিকপ্টারে চড়ে হিমালয়ের চূড়ায় পৌঁছাতে চান। অনেকে খুব অল্প সময়ে নাম, খ্যাতি কামাই করতে সংগীতাঙ্গনে আসেন। সংগীত শ্রোতাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরা নিজেরা ভালো মানের গান দিতে না পারলে নতুন প্রজন্ম ভিন্ন সংস্কৃতির গান গ্রহণ করবে। গান একটি জাতির পরিচয় বহন করে। এক আশা ভোসলের নাম উঠলে আমরা তার দেশের কথা স্মরণ করতে পারি। আমাদের জাতীয় জীবনে সংগীতের শক্তিশালী ভূমিকা রয়েছে। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সংগীতের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। সংগীতকে গুরুত্ব দিতে হবে। সংগীতের সংকট কাটাতে সবাইকে একই প্ল্যাটফর্মে এসে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আর সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে সবাই মিলে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে। তা না হলে সংকট আরও বাড়বে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর