রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

রেডিওতে একজন বিশেষ শ্রেণিভুক্ত শিল্পীকে দেওয়া হতো ৩৭৫ টাকা

ফরিদা পারভীন সংগীতশিল্পী

রেডিওতে একজন বিশেষ শ্রেণিভুক্ত শিল্পীকে দেওয়া হতো ৩৭৫ টাকা

সংগীতশিল্পীকে এ দেশে মূল্যায়ন করা হয় না। সাবিনা ইয়াসমিন, সুবির নন্দীর মতো গায়ক-গায়িকার চিকিৎসার জন্য অন্যের সহায়তা চাইতে হয়। মোবাইল কোম্পানিতে আবদুর রহমান বয়াতির ১৬ কোটি টাকা জমা হয়েছিল, অথচ তাকে চিকিৎসার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরতে হয়েছে। এই হচ্ছে বাংলাদেশের সংগীতভুবনের মানুষের বাস্তব অবস্থা। আগে সরকারিভাবে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীদের সম্মানী দেওয়া হতো। পরে সেটাও তুলে দেওয়া হয়। সম্মান দিয়ে সেটা আবার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমি ’৮৭ সালে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার এক বছর পর জানতে পারি এমন একটা সম্মানীর ব্যবস্থা আছে। এক বছর তারা আমাকে পেমেন্ট দেয়নি। রেডিওতে একজন বিশেষ শ্রেণিভুক্ত শিল্পীকে দেওয়া হতো মাত্র ৩৭৫ টাকা। সেটা ৭০ ভাগ বাড়াতে তৎকালীন অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম। সেটা যখন বাড়ল তখন রেডিওতে আমার সময় কমিয়ে দেওয়া হলো।

আগে রেডিওতে আমাদের চেহারা না দেখেই শ্রোতারা গান পছন্দ করত। এখন গানের সঙ্গে সঙ্গে টেলিভিশনে চেহারাও দেখা যায়। তবুও গানের উন্নতি হচ্ছে না। লালন বলেছিলেন- ‘সত্য কাজে কেউ নয় রাজি, সবই দেখি তা না না’। এখন গানের নামে চলছে তা না না। এখন যে যা নয়, তাকে তাই বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কাউকে লালনসম্রাট, কাউকে লালনকন্যা- কত কত পদবি দেওয়া হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। লালনচর্চা করে আমরা সমৃদ্ধ হচ্ছি। তার মানে আমরা লালনসম্রাট বা লালনকন্যা নই। গান জানে না, সে এসএমএসের মাধ্যমে সেরা শিল্পী হয়ে যাচ্ছেন। গান খারাপ হচ্ছে, যন্ত্রে টোনটা একটু তুলে দিলেই হলো। এটা কোন গান?

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর