সুরকার, গীতিকারসহ সংগীতশিল্পের সঙ্গে জড়িতদের এ শিল্পের জন্য অনেক শ্রম দিতে হয়। এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে শিল্পীদের শ্রম দিতে হবে। শ্রমের বিকল্প নেই। গানগুলো মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে। সময়ের সঙ্গে যে ধরনের প্রযুক্তি আসছে তা ধারণ করতে হবে। আগে দেশে অনেক কনসার্ট হতো এমনকি ঘরোয়াভাবে সংগীতের আসর বসত। দিন দিন এগুলো কমে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে বলতে, চর্চাই হচ্ছে না। চর্চা ছাড়া কোনো শিল্প টিকে থাকে না, থাকতে পারে না। আগের তুলনায় গানের মানেরও অবনতি হয়েছে। শ্রোতারা আগে আমাদের গান শুনত, অনুধাবন করত। হৃদয়ে তারা গান পুষে রাখত। কিন্তু মননশীলতা না থাকায় এখন তারা আর বাংলা গান শুনতে চান না। অবশ্য ধাপে ধাপে তাদের রুচি নিচের দিকে আমরাই নিয়ে গিয়েছি। আগে একটি গানের জন্য যেখানে আমাদের অনেক চর্চা করতে হতো এখন শিল্পীরা এক ঘণ্টায় সে গান তুলে ফেলে। তাহলে সস্তা গান ছাড়া আর কিছু তৈরি হওয়া সম্ভব নয়। তাই শ্রোতারা সস্তা গান শুনছেন। যন্ত্রের মাধ্যমে একজন বেসুরো ব্যক্তি সুরে গান করেন। এই প্রজন্মের শিল্পীরা সবাই স্টার হতে চান, শিল্পী হতে চান না। মানে সবাই শুধু স্টার হওয়ার সহজ চেষ্টায় আছেন, শিল্পী হওয়ার কঠিন দৌড়ে কেউ নেই। কিন্তু আমাদের মননশীলতার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। যদি শিল্পীদের যথাযথভাবে রয়্যালিটির টাকা দেওয়া হতো তবে তাদের আর চাকরি করতে হতো না। এমনকি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় শেষ বয়সে এসে শিল্পীদের করুণার পাত্র হতে হয়। তাদের অবস্থার উন্নয়নে সরকারের পৃষ্ঠপোষকাতসহ তাদের স্বীকৃতি দিতে হবে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।