আমরা যদি আমাদের গানকে নিজেরাই মর্যাদা দিতে না পারি তাহলে সংকট নিয়ে আলোচনা করে লাভ নেই।
আপনারা যারা লোকসংগীত করেন তাদের বলব, পরের সংগীতকে নিজের সংগীত বলে চালাবেন না। অনেকে দু-চারটা গানের পেট, মাথা কেটে জোড়া দিয়ে হয়ে যাচ্ছেন সুরকার। বলছেন, এটা আমার গান। এভাবে পরের গানকে নিজের বলে চালাবেন না- প্লিজ। আর বর্তমান পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ। এখন শিল্পী হতে গান জানতে হয় না। সুর, লয়, তাল না বুঝেও শিল্পী হয়ে যাচ্ছে। নকল প্রবণতায় সংগীতজগতটা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে না গুণী শিল্পী। সাবিনা ইয়াসমিনের একটা গান ১০৫ বার পর্যন্ত টেক নেওয়ার রেকর্ড আছে। অথচ, এখন যন্ত্রের মাধ্যমেই গান হয়ে যাচ্ছে। বাজাতে জানে না, অথচ একেকজন হয়ে যাচ্ছেন মিউজিক ডিরেক্টর। আমাদের তবলাবাদক, সেতারবাদক, গিটারবাদক তৈরি হচ্ছে না। এখন যারা বাজাচ্ছেন তারা নিজেদের মতো বাজান। আমার গানের সঙ্গে মিলিয়ে বাজাতে বললে তারা পারেন না।
আজ আমাদের প্রডাকশনের মধ্যে সমন্বয় কিংবা সমঝোতা নেই। নেই বিশ্বস্ততা। আমাদের এক লাখ সিডি বিক্রি হলে প্রডিউসাররা বলেন পাঁচ হাজার। নেই পর্যাপ্ত মনিটরিং কিংবা আইন প্রয়োগ। দুই-চার টাকার বিনিময়েও বিক্রি হয়ে যায় একেকটি গান। আমরা তাহলে গান গাইব নাকি এসব ঠেকাতে আইনজীবী কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী হব। কখনই না। এটা আমাদের দায়িত্ব নয়। আমাদের কাজ কেবল গান গাওয়া। এসব দেখবেন সংশ্লিষ্টরা।