রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

পাইরেসির সঙ্গে যুক্ত অনেকেই অপরাধের মাত্রা ও দণ্ড সম্পর্কে জানেন না

কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান পরিচালক, আইন ও গণমাধ্যম, র‌্যাব

পাইরেসির সঙ্গে যুক্ত অনেকেই অপরাধের মাত্রা ও দণ্ড সম্পর্কে জানেন না

নব্বইয়ের দশকেও আমি গানের ক্যাসেট কেনার জন্য উদগ্রীব থাকতাম। স্টেডিয়াম মার্কেটে গিয়ে খোঁজ নিতাম কোন শিল্পীর অ্যালবাম কবে বের হচ্ছে। এখন গান শোনার মাধ্যম প্রযুক্তির সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে। সংগীতে সংকট নিয়ে প্রযুক্তিতে তিনটি ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। কম্পিউটার হার্ডড্রাইভের মাধ্যমে পাইরেসি, গান বাজারজাত করণে আইনগত অনুমোদন নেই এমন ওয়েবসাইট ও এফএম রেডিও। চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা ও গানের পাইরেসি রোধে র‌্যাব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করে থাকে। পাইরেসির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র ও প্রায় ২০ লাখ পাইরেটেড সিডি র‌্যাব জব্দ করেছে। তবে এই অভিযানের পাশাপাশি পাইরেসি নিয়ে শিল্পী সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা প্রয়োজন। পাইরেসির সঙ্গে যুক্তদের অনেকেই এই অপরাধের মাত্রা সম্পর্কে জানে না। পাইরেসির অপরাধের কারণে দণ্ড কতটুকু তারা সেটাও অবগত নন। তাই এই অপরাধের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানো দরকার। যারা পাইরেসি করে তাদের বিরুদ্ধে সংগীতস্বত্বকারীকে আইনি অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ওয়েবসাইটে বা এফএম রেডিওতে শিল্পীর অনুমতি ছাড়া গান প্রচার করা হলে সেটাকে আইনি মোকাবিলা করতে হবে। তবে অপরাধীরা নিত্যনতুন টেকনোলজি ব্যবহার করে পাইরেসির ধরন পরিবর্তন করে থাকে। সংগীতে এই সংকট মোকাবিলায় সবার সাহায্য প্রয়োজন। পাইরেসির বিরুদ্ধে র‌্যাবের টাস্কফোর্স কাজ করে। যারা আইন পরিপন্থী কাজ করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে এ ধরনের অপরাধ কমে আসবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর