একটি আশার বাণী দিয়ে শুরু করতে চাই। সম্প্রতি নতুন এক শিল্পীর একটি গান রিংটোন হিসেবে ডাউনলোড থেকে আয় হয়েছে ১৭ লাখ টাকা। তার মানে অনেক সংকটের মধ্যেও ইতিবাচক কিছু ঘটছে। অনেক শিল্পী লাভবান হচ্ছে। তবে এটা ঠিক যে সবাই সেটা পারছে না। কারণ, সুরকার-গীতিকার হতে কেউ এখন আর সাধনা করছেন না, বরং আজকের শিল্পীদের মধ্যে কপি-পেস্টের প্রবণতা বেশি। তাই সবাইকে দোষ না দিয়ে আমি বলব, কিছু মানুষ এবং কিছু মিডিয়া বা পত্রপত্রিকা আজকের এই সংকটের পেছনে দায়ী। কিছু কিছু মিডিয়া দর্শক শ্রোতাকে বিভ্রান্ত করছে। যে লাইভ কোনো গানই গাইতে পারে না সেও সফটওয়্যারের মাধ্যমে দেশের শীর্ষ তিন শিল্পীর একজন হচ্ছেন। মিডিয়া তাকে সাপোর্ট করছে।
আমরা যদি একটু চিন্তা করে দেখি, তাহলে গত ৫-১০ বছরে আমরা এই দেশকে কী দিতে পেরেছি? কেবল ধাক্কাধাক্কি করে একজন আরেকজনের উপরে ওঠার চেষ্টা করছি। আমাদের মধ্যে কোনো পেশাদারিত্ব নেই। উন্নত দেশগুলোতে শিল্পীদের নিজস্ব গানের সফটওয়্যার রয়েছে। সেই সফটওয়্যার দিয়ে তার আয় হয়। কোথাও তার গান চালানো হলে সেটির রেকর্ড রাখতে সফটওয়্যার আছে।
ইন্ডিয়াতেও কোনো শিল্পীর গান ডিসকোতে বাজালেও সফটওয়্যারের মাধ্যমে তার রেকর্ড রাখা হয়। এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ওই শিল্পীর আয় হয়। বাংলাদেশে এই ব্যবস্থা নেই। তাই এখানে শিল্পীদের এমন দুরবস্থা। এই সিস্টেমগুলো চালু হলে, গান সম্পর্কিত সব বিভাগের সঙ্গে সুষ্ঠু সমন্বয় থাকলে শিল্পীরাও অনেক ভালো থাকতে পারবেন।