১৯ জুন, ২০২৩ ১৭:০৪

সিরাজগঞ্জে কোরবানির জন্য ৬ লক্ষাধিক পশু প্রস্তুত

আব্দুস সামাদ সায়েম, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে কোরবানির জন্য ৬ লক্ষাধিক পশু প্রস্তুত

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গবাদিপশুর রাজধানী খ্যাত সিরাজগঞ্জের খামারিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। দেশীয় খাদ্যে গবাদি পশুলোকে হৃষ্টপুষ্ট করে কোরবানির জন্য উপযুক্ত করে তুলছেন খামারিরা। তবে চড়া দামে গো-খাদ্যে কিনে গবাদি পশু পালন করে ন্যায্য দামে বিক্রি করতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে খামারিদের। এছাড়াও ভারত থেকে অবৈধ পথে যেন গরু না আসতে পারে সেজন্য সরকারের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছেন। 

জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলা সদরসহ শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, বেলকুচি, তাড়াশ, কামারখন্দ উপজেলায় কোরবানি গরু লালন-পালনে প্রায় ১৩ হাজারের অধিক ছোট-বড় খামার গড়ে উঠেছে। এছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে বাড়িতে বাড়িতে এক-দুটি করে গরু লালন-পালন করা হচ্ছে। এসব খামারগুলোতে কোরবানি ঈদের জন্য দেশীয় পদ্ধতিতে গবাদি পশু লালন-পালন করা হচ্ছে। এ বছর খামারগুলোতে কোরবানির জন্য ৬ লক্ষ ১২ হাজার গবাদি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। শুধু পুরুষ নয় লাভবান হওয়ায় পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও গরু পালন-পালন করছে। এসব খামারিরা দেশীয় খাবার নেপিয়ার ঘাসের পাশাপাশি চাউলের কুড়া, খুদ, ডালের ভুষি, অ্যাংকার ও গমের ভুষি ইত্যাদি খাইয়ে গরু হৃষ্টপুষ্ট করছেন। আর গরু যাতে রোগব্যাধিতে আক্রান্ত না হয় সেজন্য নিয়মিত গরু-খামার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখছেন। 

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার তালুকদার ডেইরি ফার্মের ম্যানেজার জান্নাতুল মারুফ জানান, প্রায় ৫০টি গরু কোরবানির জন্য দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২০টি বিক্রি করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা আসছে। এবার গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরুর দামও একটু বেশি। 

ছোয়ামনি ডেইরি ফার্মের মালিক হাজী আব্দুস সাত্তার জানানন, খাদ্যের দাম বেশী হওয়ায় গরু লালন-পালনে খরচও বেশী পড়ছে। এবার ঈদে কাঙ্খিত গরুর দাম না পেলে ক্ষুদ্র খামারিরা খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে। সরকার যদি গো-খাদ্যের দাম কমানোর ব্যবস্থা করেন তবে ক্ষুদ্র খামারি গরু পালন করে লাভবান হবে। এতে দেশে বেকারত্বের সংখ্যাও কমে যাবে। 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর হোসেন জানান, এ বছর হাটের পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে কোরবানি পশু বিক্রি করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও হাটে যাতে গরু অসুস্থ না হয় সে জন্য মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আর ভারত থেকে যাতে কোন গরু না আসে জন্য প্রশাসনকে সজাগ থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একই সাথে যারা কোরবানি দিবেন তাদেরকেও দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালনকৃত দেশীয় গরু ক্রয়ের আহ্বান ও উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর