২১ জুন, ২০২৩ ১১:৪৩

আলোচনায় ‘রাজবাড়ীর রাজবাহাদুর’

দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী

আলোচনায় ‘রাজবাড়ীর রাজবাহাদুর’

গরুটির নাম ‘রাজবাড়ীর রাজবাহাদুর’

এবার কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রাজবাড়ীতে সবার দৃষ্টি কেড়েছে ৪০ মণ ওজনের ষাঁড় ‘রাজবাড়ীর রাজবাহাদুর’। জেলার কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ি ইউনিয়নের বংকুড়ি গ্রামের কৃষক মো. মাজেদ আলী খান এই ষাঁড়ের মালিক।

জেলার সবচেয়ে বড় গরু হিসেবে ব্যাপক আলোচনায় গরুটি। এটি দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা। দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন ক্রেতারা। ১০ ফুট লম্বা ও ৭ ফুট উচ্চতার কালো রংয়ের গরুটির দাম হাঁকছেন ১৫ লাখ টাকা।

খামারি মাজেদ আলী খান বলেন, ২০২০ সালে আমার পোষা গরু থেকে বাছুরটি জন্ম নেয়। বাছুরটি দেখতে খুব সুন্দর ছিল। আমেরিকান ডেইরি জাত থেকে জন্ম নেওয়া বাছুরটি বড় করার সাধ জাগে। সেখান থেকে বাড়তি যত্ন শুরু করি। রাজবাড়ী জেলা মূলতো রাজ-রাজাদের জেলা। তাই বাছুরটির নাম দেই ‘ রাজবাড়ীর রাজবাহাদুর’। খাওয়ানো, গোসল করানো, পরিচর্যাসহ সবকিছু লক্ষ রাখতে হয়। খারাবের তালিকায় রাখা হয় কাঁচা ঘাস, শুকনো খড়, গমের ভুসি, খেসারির ভুসি, ভুট্টাভাঙা ও কলা। শুধু রাজবাড়ীতে নয়, পদ্মা পাড়ের এই এলাকার মধ্যে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বড় ও সুন্দর গরুটি হচ্ছে ‘রাজবাড়ীর রাজবাহাদুর’। গরুটি ১৫ লাখ টাকার মধ্যে বিক্রির প্রত্যাশা কৃষক মাজেদ আলীর।

গতকাল মাজেদ আলী খানের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, গরুটি বিক্রির জন্য শেষ সময়ের পরিচর্যা করছেন তার পরিবারের লোকজন। গরুটি দেখতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা আসছেন। গরুটি ক্রয় করার জন্য বেশ কয়েকজন ক্রেতা দেখা গেছে দরদাম করতে। প্রত্যাশিত দামের মধ্যে গরুটি না থাকায় অনেকেই খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।

ক্রেতারা বলছেন, গরুটি দেখতে ভালো। রাজবাড়ীর সেরা গরু এটা। আমরা ভেবেছিলাম ১০ লাখ টাকার মধ্যে হলে গরুটি ক্রয় করবো। কিন্তু কৃষককের প্রত্যাশা আরও বেশি। তাই ফিরে যাচ্ছি। বড় গরুর সঠিক ওজন প্রাণীসম্পদ দপ্তর থেকে নির্ধারণের দাবি ক্রেতাদের। তবে সবেচেয়ে বড় বিষয়, গরুটি কৃষকের হাতে বড় হয়েছে।

জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক বলেন, জেলায় দুইটি বড় গরু পালন করছেন খামারিরা। আমাদের নজরে এসেছে রাজবাড়ীর ‘রাজবাড়ীর রাজবাহাদুর’ ও ‘সিংহরাজ’। কৃষক মাজেদ আলী কোনো খামারি নয়। সে একজন কৃষক। তার লালন-পালন করা খামার থেকে গরুটি জন্ম নেয়। গরুটি প্রাকৃতিক খাদ্য নির্ভর এবং মানসম্মত।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর