শিরোনাম
২৬ জুন, ২০২৩ ১০:৫৯

এখনো জমে ওঠেনি পশুর হাট

কেনাবেচা কম

নিজস্ব প্রতিবেদক

এখনো জমে ওঠেনি পশুর হাট

ফাইল ছবি

ঈদুল আজহা দরজায় কড়া নাড়লেও এখনো জমে ওঠেনি রাজধানীর পশুর হাট। গতকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হাট শুরু হলেও ক্রেতা কম। তবে এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে খামারি ও ব্যবসায়ীরা হাটে পশু নিয়ে এসেছেন। কোরবানিদাতারা হাটে আসছেন, দরদাম করেই চলে যাচ্ছেন। আজ (সোমবার) থেকে বেচাকেনা শুরু হবে- আশা ইজারাদার ও খামারিদের। গতকাল মেরাদিয়া, তেজগাঁও পলিটেকনিক্যাল, সাঈদনগরসহ বিভিন্ন হাটে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

মেরাদিয়া হাটে গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ক্রেতাদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। পাইকার ও খামারিরাও কেউ কেউ বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। কেউ ব্যস্ত ছিলেন গবাদি পশুর যত্ন নিয়ে। তবে কয়েকটি স্থানে ক্রেতাদের দরদাম করতে দেখা গেছে। ঝিনাইদহ থেকে এসেছেন ব্যবসায়ী আবুল কালাম। তিনি ১৭টি গরু নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে এই হাটে এসেছেন। শনিবার রাতে একটি গরু বিক্রি করেছেন। আজ একটি গরুও বিক্রি হয়নি। দুজন লোক এসেছেন, দরদাম করে চলে গেছেন। কমলাপুর পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, এখনো পশু বেচাকেনা শুরু হয়নি। কমলাপুর টিটিপাড়া, মুগদা স্টেডিয়াম সংলগ্ন খালি জায়গা, গোপীবাগ ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব মাঠ, দেওয়ানবাগ দরবার শরিফের সামনের রাস্তাসহ আশপাশের ফাঁকা সড়কজুড়ে সারি সারি বাঁশ গেড়ে-বেঁধে হাট প্রস্তুত করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে গরু-ছাগল আসছে। গরুগুলো নামিয়ে তা বেঁধে রাখছেন ব্যাপারীরা, করছেন পরিচর্যা। এই হাটে কুষ্টিয়া থেকে সোহাগ মিয়া ৪০টি গরু এনেছেন। বড়-ছোট সব ধরনের গরু আছে, বলছিলেন আলাপে। তিনি বলেন, প্রতিবারই আমি এ হাটে গরু এনে বিক্রি করি। আমার মতো অনেকেই গরু-ছাগল নিয়ে এসেছে। তবে এখনো বিক্রি শুরু হয়নি। অনেকে এসে ঘুরে গরু দেখে যাচ্ছেন, দামাদামিও করছেন। তবে ঈদের দুই দিন আগে গরু বিক্রি শুরু হবে। এবার সব গরুই বিক্রি হবে আশা করছি, লাভও ভালো হবে। ঢাকা পলিটেকনিক মাঠে দেখা গেছে, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠের এই হাটে ছোট-বড় সব ধরনের বিপুলসংখ্যক গরু এসেছে। মোটাতাজা ষাঁড়ও এসেছে অনেক। গরুর মালিকদের গরুর পরিচর্যা করতে দেখা গেছে। অনেককে শুয়ে থাকতেও দেখা গেছে।

সিরাজগঞ্জের ব্যবসায়ী আবদুল হালিম। তিনি জাহাঙ্গীর অ্যাগ্রো ফার্ম নামের একটি খামারের মালিক। তিনি বলেন, ২১টি গরু নিয়ে শুক্রবার ঢাকার তেজগাঁও হাটে এসেছি। এখন পর্যন্ত একটিও বিক্রি হয়নি। তবে ক্রেতা আসছে। গরু দেখে চলে যাচ্ছে। কেউ কেউ দাম করছে। কিন্তু যে দাম বলছে সেই দামে বিক্রি করলে লস হবে বলেও জানান তিনি। আফতাবনগর হাটে দেখা গেছে, আফতাবনগর লোহার ব্রিজ থেকে বটতলা হয়ে তালতলা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কজুড়ে এই হাট বসেছে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিক্রির জন্য কোরবানির পশু নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া এখনো পর্যায়ক্রমে পশু নিয়ে হাটে আসছেন তারা।

গত বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া থেকে ১৩টি গরু নিয়ে আফতাবনগর হাটে এসেছেন ব্যবসায়ী আনিসুর। তিনি বলেন, আমার কাছে থাকা সবগুলো গরুই ২ লাখ টাকার বেশি। এখন পর্যন্ত ২টি গরু বিক্রি করেছি। এখন অতটা ক্রেতা নেই। যারা আসে তারা ১ লাখ ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাম বলেন। ঈদের ২-৩ দিন আগে হয়তো ভালো বিক্রি হবে। আর বিক্রি হোক বা না হোক, ঈদের আগের রাতে বাড়ি চলে যাব।

সাঈদনগর পশুর হাটে দেখা গেছে, হাট পশুতে ভর্তি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পশু এসেছে এই হাটে। পাবনা, নাটোর, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ এলাকা থেকে বেশি পশু এসেছে এই হাটে। হাটে বড় গরু থাকলেও মাঝারি গরু বেশি। হাটে ক্রেতার উপস্থিতি থাকলেও বিক্রি হচ্ছে কম। ইজারাদারের পক্ষে সমন্বয়ক মো. নুরুল আমিন বলেন, হাটে যথেষ্ট পরিমাণে পশু এসেছে। এখনো আসছে। ক্রেতারা ঘুরে দেখছে এবং দরদাম করতেও দেখা গেছে। কিন্তু বিক্রি কম। মাঝে মধ্যে দুই একটা বিক্রি হয়। কাল থেকে বিক্রি শুরু হবে বলে আশা করছি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর