শিরোনাম
২৬ জুন, ২০২৩ ১৬:৫৭

পশু বেচাকেনায় অতিরিক্ত হাসিল আদায় করলে কঠোর ব্যবস্থা : র‌্যাব

অনলাইন ডেস্ক

পশু বেচাকেনায় অতিরিক্ত হাসিল আদায় করলে কঠোর ব্যবস্থা : র‌্যাব

বক্তব্য দিচ্ছেন খন্দকার আল মঈন

র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, ‘কোরবানির হাটগুলোত হাসিল ঘর রয়েছে। অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগও এসেছে। অনেকে প্রতারিত হচ্ছেন। হাটগুলোতে আমাদের মোবাইল টিম কাজ করছে। অতিরিক্ত হাসিল গ্রহণ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর গাবতলী কোরবানির পশুর হাটে র‌্যাব গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা কোরবানির হাটে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। স্বনামধন্য যে হাটগুলো রয়েছে সেখানে হাট পরিচালনা কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করেছি। কোরবানির হাট ও কোরবানির পশু বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে আমরা বেশকিছু সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘কোরবানির হাটে প্রচুর কোরবানির পশু বেচাকেনা হয়, এ কোরবানির পশু বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম উপায়ে রাসায়নিক দ্রব্য খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করে অথবা অস্বাস্থ্যকর গবাদি পশু বিক্রি করেন। এসবের বিরুদ্ধে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়, ভেটেরিনারি ডাক্তারের সমন্বয়ে র‌্যাব একটি টিম গঠন করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। বিভিন্ন হাটে এ টিম পর্যবেক্ষণে যাচ্ছে।’

‘সকাল থেকে গাবতলী হাটেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা ১৫ ব্যবসায়ীকে সতর্ক করেছি। যারা গবাদি পশু এখানে বেচাকেনা করছেন। যাদের আনা গবাদি পশু মানসম্মত নয়।’

‘কোরবানির হাটকেন্দ্রিক দালাল, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি প্রতারক চক্র ও জাল টাকা কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। গতকাল রাত থেকে হাটকেন্দ্রিক অভিযানে প্রতারণা, ছিনতাইয়ে জড়িত ২০ জনকে আমরা করেছি গ্রেফতার করেছি।’

তিনি বলেন, ‘কোরবানির হাটকেন্দ্রিক প্রচুর নগদ টাকার লেনদেন হয়। যেখানে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী জাল টাকা নিয়ে হাটে আসেন, লেনদেনের চেষ্টা করেন। এ হাটে আমরা জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন র‌্যাব কন্ট্রোল রুমে রেখেছি। আমরা কোরবানির ঈদ কেন্দ্র করে গত কয়েকদিনে ৫০ এর অধিক কারবারিকে আটক করেছি, যারা জাল টাকা কারবারে জড়িত। ৫০ লক্ষাধিক টাকার জাল টাকা জব্দ করা হয়েছে।’

সাধারণ ক্রেতা বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে কমান্ডার মঈন বলেন, ‘আপনারা যারা কোরবানির পশুহাটে ক্রয়-বিক্রয় করবেন, তারা নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নেন, প্রয়োজনে লেনদেনের টাকা জাল কি না তা মেশিনে জাল টাকা শনাক্ত করুন। এতে আমরা জাল টাকা কারবারিদের আইনের আওতায় আনতে পারব।’

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর