শিরোনাম
২৬ জুন, ২০২৩ ১৯:৪১

এখনো পুরোপুরি জমে ওঠেনি বরিশালের পশুর হাট

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

এখনো পুরোপুরি জমে ওঠেনি বরিশালের পশুর হাট

বরিশালের হাটে কোরবানির পশুর ঘাটতি নেই। তবে আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

আজ বিভিন্ন হাটের বেপারী, পাইকার ও গৃহস্থরা হতাশা প্রকাশ করেছে। ক্রেতার আশায় প্রহর গুনছেন তারা। আগামীকাল থেকে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় পশুরহাটগুলোতে বুধবার রাত পর্যন্ত জমজমাট বেচাকেনা হবে বলে আশা তাদের। হাটের ক্রেতারা জনিয়েছেন, আগের চেয়ে পশুর দাম অনেক বেড়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে আর্থিক সামর্থ্য কমে গেছে অনেকেরেই। সবমিলিয়ে পশু বিক্রিতে ভাটা পড়েছে।
 
বরিশাল জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জানা যায়, জেলার ১০ উপজেলায় স্থায়ী ২২টি হাট এবং অস্থায়ী ৫১টি হাটে এবার কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সিটি করপোরেশনের মধ্যে একটি স্থায়ী হাট ছাড়াও কোরবানি উপলক্ষে ২টি অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চাঁদরাত পর্যন্ত এসব হাটে পশু বিক্রি চলবে। 

বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় বিভিন্ন গৃহস্থের পোষা গরুর পাশাপাশি বড়-ছোট খামারি গুরু নিয়ে আসছেন। কুষ্টিয়া-সাতক্ষীরাসহ বিভাগের বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকেও এসেছে গবাদি পশু। ক্রেতার আশায় পশু নিয়ে হাটে প্রহর গুনছেন বেপারিরা। গত কয়েকদিন ধরে টুকটাক বিক্রিও হচ্ছে। প্রথমদিকে ক্রেতারা বিভিন্ন হাটঘুরে পছন্দের পশু খুঁজেছেন এবং দাম যাচাই করেছেন। আজও কিছু মানুষ হাটে গেলেও পশু সেভাবে বিক্রি হয়নি। 

ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিত্তবানরা এককভাবে কোরবানি দেয়ার জন্য এক লাখ থেকে দেড়-দুই লাখ টাকার ষাঁড় পছন্দ করছেন বেশি। ভাগে কোরবানি দেয়ার লোকজনও লাখ টাকার কাছাকাছি পশু খুঁজছেন। 

বানারীপাড়ার বাসিন্দা গোলাম মাহমুদ রিপন বলেন, হাটগুলোতে স্থানীয় পশু ছাড়াও দূরদূরান্তের খামার থেকে প্রচুর পশু আনা হয়েছে। তবে তেমন বিক্রি নেই। হাটে ক্রেতা কম। এখন পর্যন্ত বিক্রি জমেনি। তার মতো, বাজারে যে দরে গরুর মাংস বিক্রি হয়, তার চেয়েও অধিক গড় মূল্যে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশু। পশুর মূল্য অধিক বেড়ে যাওয়াসহ করোনা পরবর্তী আর্থিক বিপর্যয়ের কারণে এবার অনেকেই কোরবানি দিচ্ছেন না। বিশেষ করে ভাগে কোরবানি দেয়া মানুষের সংখ্যা কমে গেছে। 

উজিরপুরের আজাদ খান বলেন, আগে ৫ থেকে ৭ জন মিলে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার ভাগে কোরবানি দেয়া যেত। এবার ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার কমে ভাগে কোরবানি দেয়া যাচ্ছে না। এতে অনেকেই সাধ্যে কুলাতে পারছেন না। তবে সামাজিক মান-মর্যদা রক্ষায় অনেকেই কোরবানি দিতে উচ্চমূল্য পশু কিনছেন নিরুপায় হয়ে। 

এদিকে পশুরহাটে ক্রেতা বিক্রেতার যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতে আগেভাগেই সংশ্লিষ্টদের সাথে মিটিং করেছেন জেলা ও পুলিশ প্রশাসন এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ। হাটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, নিজস্ব বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাসহ স্বেচ্ছাসেবক রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন তারা। যেকোন সমস্যা হলে হাটের কন্ট্রোল রুমকে জানোতে অনুরোধ করা হয়েছে। 


বিডি প্রতিদনি/নাজমুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর