শিরোনাম
২৭ জুন, ২০২৩ ১৬:৪২

টঙ্গীতে জমে উঠেছে পশুর হাট

টঙ্গী প্রতিনিধি

টঙ্গীতে জমে উঠেছে পশুর হাট

ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

গাজীপুরের টঙ্গীতে জমে উঠেছে পশুর হাট। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিভিন্ন হাটে ছুটছেন ক্রেতারা। তবে এবার দাম কমছে না পশুর। ক্রয় ক্ষমতার বাইরে গরুর দাম হওয়ায় কোরবানি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না অনেকের। 

আবার অনেকেই ছেলে মেয়ে কিংবা পরিবারের লোকজনদের অনুরোধে একটু  কষ্ট হলেও গরু কিনছেন। তবে কোরবানির জন্য ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরুই চাহিদা একটু বেশি। আর দাম বেশি হওয়ায় কম বাজেটে কোরবানির পশু কিনতে গিয়ে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকেই সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটাতে ব্যর্থ হয়ে খালি হাতেই ফিরছেন বাড়ি।

সরেজমিন ঘুরে যানাযায়, গাজীপুরের টঙ্গী স্টেশনরোড এলাকায় পূর্ব থানার পেছনে রয়েছে ঐহিত্যবাহী টঙ্গী পশুর হাট, এছাড়া গাজীপুরা এলাকায় একটি এবং টঙ্গীর গাজীপুরা সাতাইশ রাজনগর বাগানবাড়ি এলাকায় এই প্রথম গড়ে উঠেছে পশুর হাট। শেষ মুহুর্তের বেচা কেনায় বেশ জমে উঠেছে। কোরবানির জন্য পছন্দের পশু কিনতে ক্রেতারা হাটে ছুটছেন। তবে যাদের কোরবানির পশু রাখার জায়গা নেই তারা এখনো আছেন চাঁদ রাতের অপেক্ষায়। হাটে একদিকে যেমন দরদাম চলছে, অন্যদিকে কেনাবেচাও চলছে। বাজারে মাংসের দাম ৮০০ টাকা সাড়ে ৮৫০ টাকা হওয়ায় কোরবানির পশুর দামও বেড়েছে। খামারিরা ও ব্যবসায়ীরা মাংসের দামের কেজি হিসেবে পশুর দাম নির্ধারণ করছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশি দাম হাঁকছেন। 

টঙ্গীর হাটে আসা এক ক্রেতা ডলার খান বলেন, এখানে শতকরা ৬ টাকা হাসিল নেয়া হচ্ছে, যে কারনে মানুষ অন্য হাটে চলে যাচ্ছে। টঙ্গীর অন্যান্য হাটে শতকরা ৪ টাকা নেয়া হচ্ছে। 

টঙ্গী হাটের ইজারাদার পক্ষের একজন মো. আব্দুর রশিদ বলেন, আগে থেকেই শতকরা ৬ টাকা নেয়া হয় সেটাই রয়েছে। তবে অনেকের কাছ থেকে কমও নেয়া হয়। এ বিষয়ে সোহেল রেঞ্জ এগ্রো প্লাস ফার্মের মালিক সোহেল আহম্মেদ বলেন, গরুr খাবারের দাম অনেক বেড়েছে,যে কারণে দামতো একটু বেশি হবেই। বাজারে বিভিন্ন খামারের গরু উঠেছে,তবে আমার খামারের গরু ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। ইতোমধ্যে অনেক গরু বিক্রি হয়েছে, যে কয়টা বাকি রয়েছে,আশা করি আজকের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। 

অপরদিকে গাজীপুরা সাতাইশ রাজনগর বাগানবাড়ি এলাকায় পশুর হাটের পরিচালক মো. কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, অন্যান্য হাটের তুলনায় এখানে হাসিল অনেক কম। যে কারণে ক্রেতারা এখানে ভিড় জমাচ্ছেন। এছাড়া খোলা মাঠ এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশ. ক্রেতারা হাটে এসে ঘুরে ঘুরে গরু পছন্দ করে নিয়ে যাচ্ছেন। 

এ ব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আশরাফুল ইসলাম বলেন, হাটে আসা ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কাজ করছে পুলিশ। হাটে পুলিশ কন্ট্রোলরুম রয়েছে। কোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা চোঁখে পড়লেই সাথে সাথে নেয়া হচ্ছে আইনী ব্যবস্থা। 


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর