নাকের মিউকাস মেমব্রেন অধিক বৃদ্ধি পেলে বা তাতে জলীয় পদার্থ বেশি জমলে মেমব্রন থেকে আঙ্গুর ফলের মতো বস্তু দেখা দেয় যাকে পলিপ বলে। এটি খুব যন্ত্রণাদায়ক একটি ব্যাধি। অনেকেই একে অবহেলা করেন। যা মোটেও ঠিক নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি নাকের সম্মুখভাগে দেখা দেয়। একসঙ্গে একের অধিক হতে পারে। পলিপ দুই প্রকার। (১) অ্যালার্জিজনিত, (২) নাকের সাইনাসের পুরনো প্রদাহজনিত।
লক্ষণ : যখন পলিপ ছোট থাকে তখন কোনো লক্ষণ থাকে না। ধীরে ধীরে লক্ষণ পরিল-ক্ষিত হয়। যখন বড় আকারের হয় তখন শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা ও সাইনাসের স্বাভাবিক বন্ধ হয়। রোগীর প্রায়ই সর্দি হতে থাকে এবং নাক বন্ধ থাকার অনুভূতি অথবা পর্যায়ক্রমে এক নাকের বন্ধ থাকার অনুভূতি সৃষ্টি হয়। প্রথম পর্যায় নাকের শ্লেষ্মা পানির মতো থাকে। যখন জীবাণু ধারা আক্রান্ত হয় তখন পুঁজযুক্ত হয়।
কারণ : নাকের ছিদ্রপথের উপরের দিক স্বভাবত অপরিসর। মধ্যবর্তী কনকা (Meddle Concha বা Turbinat) ও মিডল মিয়াটাসের (Middle Meatus) পাশে স্থান খুব কম থাকায় এই স্থানে প্রদাহ হলে বা অ্যালার্জিজনিত পরিবর্তন হলে স্থানীয় মিউকাস মেমব্রেন নিচের দিকে বৃদ্ধি পেতে থাকে। তা ছাড়া বার বার নাক পরিষ্কার করার সময় চাপের দরুন মিউকাস মেমব্রেন নিচের দিকে প্রলম্বিত হয়। অ্যালোপ্যাথির পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায়ও নাকের পলিপ আরোগ্য সম্ভব। প্রাথমিক অবস্থা থেকেই এ রোগের চিকিৎসা করানো উচিত। অন্যথায় জটিলতা বেড়ে তা চরম আকার ধারণ করতে পারে।ডা. সৈয়দ জাহেদুল আলম
রেপারেটরি এঙ্পার্ট
ফোন : ০১৭২০৯০৮১৫৭