শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৩ ০০:০০ টা

নীরব ঘাতক উচ্চ রক্তচাপ

নীরব ঘাতক উচ্চ রক্তচাপ

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনকে 'নীরব ঘাতক' বলা হয়। কারণ প্রায়ই এই রোগের নির্দিষ্ট কোনো উপসর্গ থাকে না। রোগী হয়তো অন্য কোনো সমস্যার জন্য চিকিৎসকের কাছে এসেছেন, শারীরিক পরীক্ষায় তার রক্তচাপ বেশি পাওয়া গেল এবং তারপর এক সময় তিনি প্রথমবারের মতো জানতে পারলেন যে তার এ সমস্যাটি রয়েছে এবং হয়তো তা অনেক আগে থেকেই। কিন্তু উচ্চ রক্তচাপের কারণে রোগীর শরীরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের _ যেমন হার্ট, মস্তিষ্ক, কিডনি ও চোখ, এগুলোর ক্রমাগত ক্ষতি হতে থাকে। কিডনি রোগ, মস্তিষ্কে স্ট্রোক এবং চোখের রেটিনোপ্যাথি নামক রোগের প্রধান কারণ অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ। প্রাপ্তবয়স্কদের হৃদরো গেরও প্রধান কারণ বা ঝুঁকি হলো উচ্চ রক্তচাপ। প্রাপ্তবয়স্কদের হৃদরোগেরও অন্যতম প্রধান কারণ বা ঝুঁকি হলো উচ্চ রক্তচাপ। কাজেই সময়মতো এই রোগটি নির্ণয় করা গেলে এবং চিকিৎসা ও আনুষঙ্গিক জীবনধারণ পদ্ধতি মেনে চলার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা গেলে হার্টঅ্যাটাক জাতীয় হৃদরোগ, মস্তিষ্কে স্ট্রোক, কিডনি প্রভৃতি প্রাণঘাতী রোগকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। উচ্চ রক্তচাপ চিকিৎসায় কতগুলো ব্যাপার লক্ষণীয়। নিয়মিত ওষুধ সেবন করলেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে এমনটা ঠিক নাও হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে রক্তচাপ ১৩০-১৪০ / ৮০/৮৫ মি. মি. পারদ থাকা বাঞ্ছনীয়)। নির্দিষ্ট বিরতিতে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে ফলোআপ করে ওষুধ কোন সঠিক মাত্রাটি রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখছে- তা বের করতে হবে এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই 'প্রেসারের ওষুধ সব সময় খেতে হবে। অনেকেই রক্তচাপ স্বাভাবিক হলে ওষুুধ সেবন বন্ধ করেন, যা কাম্য নয়। কারণ উচ্চ রক্তচাপ নিরাময়যোগ্য কোনো রোগ নয়। এটি নিয়ন্ত্রণ করে চলতে হয়।

ডা. কামাল পাশা, সহযোগী কনসালট্যান্ট,স্কয়ার হাসপাতাল, ঢাকা। ফোন : ০১১৯১১৬৭০৯৫

 

 

সর্বশেষ খবর