শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

কৃত্রিম চোখের বিভিন্ন দিক

কৃত্রিম চোখের বিভিন্ন দিক

মানবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে চোখ অন্যতম। আমরা অনেকেই এর মূল্য বুঝতে পারি না। বুঝতে পারি তখন; যখন এটি হারাই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কৃত্রিম চোখের চাহিদা বেড়েই চলেছে। জন্মগত বা দুর্ঘটনাজনিত কারণে যাদের একটি চোখ নেই বা তুলে ফেলতে হয়েছে তাদের জন্যই মুখের স্বাভাবিক গড়ন বজায় রাখতে প্রতিস্থাপন করা হয় কৃত্রিম চোখ। মূলত বিজ্ঞানের আশির্বাদ ও প্রযুক্তির অগ্রগতির কল্যাণে এটি সম্ভব হয়েছে। 

বর্তমানে অ্যাক্রিলিক পলিমার ফাইবার দিয়ে চোখ বানানো হচ্ছে। কৃত্রিম এই চোখ লাগানোর পরও মুখের গড়নের কিন্তু কোনো অস্বাভাবিকতা আসবে না। তাছাড়া অন্য ভালো চোখের মতোই এই কৃত্রিম চোখ ওপর-নিচ, ডানে-বাঁয়ে ঘোরানো যায়। ফলে আপনি কিন্তু আসল নকলের তফাৎ ধরতে পারবেন না। প্রচলিত চিকিৎসা সত্ত্বেও যাদের একটি চোখ সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গেছে বা দুর্ঘটনাজনিত কারণে চোখটি তুলে ফেলতে হয়েছে তাদের ক্ষেত্রেই প্রয়োজন এই কৃত্রিম চোখ প্রতিস্থাপনের। আবার অনেক সময় জন্মগত কারণেও এরকম হয়ে থাকে। অকুলোপ্লাস্টি সার্জনরা চোখ তুলে ফেলার পর বল ইমপ্লান্ট করেন যাতে মুভমেন্ট ভালো হয়। ছয় সপ্তাহের জন্য কনফরমার পরিয়ে দেন যাতে চোখ বুঝে না যায়, তারপর আরটিফিশিয়াল আই ফিটিংয়ের জন্য রেফার করে থাকেন। এই কৃত্রিম চোখ প্রস্তুত করতে প্রধানত দু'দিন ট্রায়ালের প্রয়োজন হয়। ক্ষেত্র বিশেষে সেম ডে-তে ডেলিভারি সম্ভব। যাদের চোখ তোলা হয়নি তাদের ক্ষেত্রেও কাস্টমমেড আরটিফিসিয়াল আই লাগানো যায়। যাদের ক্যান্সার হয়ে চোখ নষ্ট হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে লাগানো হয় সিলিকন রাবার প্রসথেসিস। আগে পাওয়া যেত রেডিমেড আই যা বক্স থেকে নিয়ে লাগানো হতো তাতে ম্যাচিং, রং, সাইজ ও ফিটিং কোনোটাই ঠিক হতো না। বর্তমানে বোস্টন থেকে পিএমএমএ মেটেরিয়াল দিয়ে চোখ বানিয়ে স্টেরেলাইজ করে বসানো হয়, যা মেডিকেটেড এবং ইনফেকশন হওয়ার চান্স থাকে না।

শুভাশিস চৌধুরী, অপটোমেট্রিস্ট, লো ভিশন স্পেশালিস্ট ও অকিউ-লারিস্ট।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৭৫৮২

 

 

সর্বশেষ খবর