শিরোনাম
বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ওষুধেই যখন রোগ নিয়ন্ত্রণ

অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস

ওষুধেই যখন রোগ নিয়ন্ত্রণ

কখন হার্ট অ্যাটাক হবে কেউ কি তা জানে? কেন অপেক্ষা করবেন হার্ট অ্যাটাকের, যখন তা নিবারণ করতে পারেন। তাৎক্ষণিকভাবে জীবন বাঁচানোর জন্য মানুষ অপারেশনের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু কেন আমরা এই ইমার্জেন্সির কাছে নিজেকে সঁপে দেব? কেন আমরা নিজের দেহ সম্পর্কে অজ্ঞ থাকব। বিষয়টি অনেকটা এরকম, আপনি গাড়ি চালাচ্ছেন, কিন্তু হঠাৎ করে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যেতে পারে, সে ব্যাপারে আপনার কোনো উদ্বেগই নেই। চলার পথ মসৃণ রাখতে ইঞ্জিনের সুরক্ষা করতে হবে। ঠিক একইভাবে আমাদের দেহ একটি মূল্যবান ও বিস্ময়কর মেশিন বা যন্ত্র যা সৃষ্টি করেছেন স্রষ্টা। এই দেহযন্ত্রকে সচল রাখতে হলে বিশেষ যত্ন নিতে হয়, যে কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা সম্বন্ধে প্রাক তত্ত্বাবধান করতে হয়। দুর্ভাগ্যজনক হলো, বড় হাসপাতালগুলোর রীতিমাফিক টেস্ট যেমন, লিপিড প্রোফাইল, স্ট্রেস টেস্ট এবং ২ডি ইকো, শতকরা ৫০ ভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভাব্য রোগ সম্বন্ধে কোনো প্রমাণ হাজির করে না। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা রোগের অগ্রসর পর্যায় সম্পর্কে কোনো কিছুই প্রকাশ করে না। ফলে ডাক্তার অন্ধকারে থাকেন। বেশির ভাগ ডাক্তারই রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবস্থাপত্র দেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোনো চিকিৎসক হৃদযন্ত্রের উপাদান সম্বন্ধে আলোকপাত করা বা দিক-নির্দেশনা দেন না। চিকিৎসা প্রযুক্তির উন্নতির যুগে হার্টের রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। বর্তমানে হৃদরোগীদের জন্য অনেক পদ্ধতি আবিস্কৃত হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় যোগ হয়েছে হলিস্টিক পদ্ধতি। এটি মূলত রোগ প্রতিকার ও প্রতিরোধের পদ্ধতি। স্বল্প ওষুধ সেবনের মাধ্যমে হার্টের আর্টারিতে ব্লকেজ অথচ রোগী অপারেশনে ভয় পান বা অপারেশনের জন্য অনুপযুক্ত- যেমন: অধিক বয়স, শারীরিক অক্ষমতা, হার্টের পাম্পিং ক্ষমতা অনেক কম, স্টান্টিং করতে ব্যর্থ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া যায় এ পদ্ধতিতে। আজকাল অনেকেরই হেলথ পলিসি আছে, হাসপাতালের খরচ জোগায় ইনসিওরেন্স কোম্পানি। কিন্তু শরীরের যে ক্ষতি হয়ে যায়, তার পূরণ কিভাবে হবে? বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা পদ্ধতি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে : ডায়েট ম্যানেজমেন্ট, স্ট্রেস ফ্রি টেকনিক, মেডিটেশন, যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম, নিউরোবিক, আকুপ্রেশার। আধুনিক এ যুগে হৃদরোগ চিকিৎসায় এসব পদ্ধতি এখন পঞ্চশক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সুতরাং প্রাথমিক অবস্থা থেকেই হৃদ রোগ নিয়েই সতর্ক হতে হবে।

লেখক : অধ্যাপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ

এবং সিইও, হলিস্টিক হেলথ্ কেয়ার, ঢাকা।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর