শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস আজ

আজকের পদক্ষেপ ভবিষ্যতের প্রতিরোধ

আজকের পদক্ষেপ ভবিষ্যতের প্রতিরোধ

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস আজ। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিনটি পালিত হচ্ছে। বিশ্বে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশে রয়েছে প্রায় ৯০ লাখ, বছরে বাড়ছে আরও ১ লাখ রোগী। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ না নিলে বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৫৫ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করলে রোগী নিজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সব বয়সের মানুষই আজ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিবছরই দ্বিগুণ হারে বাড়ছে নতুন নতুন ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা। সচেতনতার অভাবে অনেকেই এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমানে সারাবিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০ম স্থানে।

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস হলো বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি ক্যাম্পেইন, যা প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর দিবসের থিম হলো আজকের পদক্ষেপ, ভবিষ্যতের প্রতিরোধ।

চিকিৎসা ও প্রতিরোধ : এ রোগের চিকিৎসায় শর্করা নিয়ন্ত্রণ করাই যথেষ্ট নয়, শর্করা মাত্রা বৃদ্ধিজনিত সমস্যাগুলোকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে তবেই ভবিষ্যতের জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, নিয়মিত কায়িক পবিশ্রম এবং প্রয়োজনে ওষুধের ব্যবহার। একটা কথা ভুললে চলবে না যে শুধু ওষুধের সাহায্যে কখনোই এই অসুখ সারানো সম্ভব নয়। অন্য দুটি নিয়ম পালন করা আরও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফিজিক্যাল এক্সারসাইজের ব্যাপারটা বিশেষ করে মাথায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য হলিস্টিক পদ্ধতি এখন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। হলিস্টিক পদ্ধতি হলো আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রাচীন প্রাকৃতিক পদ্ধতির আশ্চর্য সমন্বয়। স্ট্রেস ফ্রি থাকতে হবে, সুরের মায়াজালে বন্দি করা যায় স্ট্রেস ও ডায়াবেটিসকে যত পারুন হাঁটুন, কফি পান ভালো, মসলাযুক্ত খাবার খান, শিথিল হোন প্রতিদিন, রাতে যেন হয় সুনিদ্রা এবং সঙ্গীর সঙ্গে থাকুন, থাকুন বন্ধু-বান্ধবসহ। বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সুস্থ জীবনযাপনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সুস্থ জীবনযাপন মানে হচ্ছে- স্বাস্থ্যকর খ্যাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা বা ব্যয়াম এবং মন সুস্থ রাখা। মন সুস্থ রাখতে হলে মনের ওপর চাপ নেওয়া যাবে না। শারীরিক এবং মানসিক চাপ উভয়ই স্বাস্থ্যের জন্য অপকারী। চাপ কমানোর জন্য যোগব্যায়াম, ধ্যান ও নিউরোবিক

জিম করা উপকারী পদ্ধতি। আরও একটি দিন বেঁচে থাকার জন্য মনে মনে সবাইকে ধন্যবাদ দেওয়াও চাপ কমানোর পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। এ চিকিৎসার

মূল চাবিকাঠি হলো- লাইফ স্টাইলে পরিবর্তন, স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ, যোগব্যায়াম, প্রানায়াম, মেডিটেশন, নিউরোবিক জিম ও আকুপ্রেশার।

অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং সিইও,

হলিস্টিক হেলথ কেয়ার সেন্টার, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর