মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

জেনে রাখা ভালো

জেনে রাখা ভালো

প্রতিদিন ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। ন্যূনতম চার ঘণ্টা থেকে অধিক ১০ ঘণ্টা ঘুম দরকার হয়। শারীরিক সুস্থতাই নয়, সৌন্দর্যের জন্য ঘুম প্রয়োজন। মস্তিষ্কের র‌্যাকে নিউক্লিয়াস ও লোকাস সেরুলিয়াস কেন্দ্র দুটির স্টিমুলেশনের কারণে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। র‌্যাকে নিউক্লিয়াস থেকে সেরোটোনিন ও নিউরোহরমোন নিঃসৃত হয় এবং লোকাস সেরুলিয়াস কেন্দ্র থেকে অ্যাড্রিনালিনের ক্ষরণ বাড়ায়। এ ছাড়া অন্ধকারে পিনিয়াল বডি থেকে মেলাটোনিন নামে একটি হরমোন নিঃসৃত হয়। সারা দিন শরীরে যে ক্ষয় হয়, তা পূরণ করার দায়িত্ব সিরাকার্ডিয়ান সাইকলের। ঘুমের মাঝে গ্রোথ হরমোন নিঃসরিত হয়। গ্রোথ হরমোন ত্বক ও চুলের কোষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। গ্রোথ হরমোনের প্রভাবে ত্বক ও চুলের নতুন কোষের জন্মের হার বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ঘুম যদি কম হয় বা না হয়, তাহলে গ্রোথ হরমোনের অভাবে ত্বক অনুজ্জ্বল হবে ও চুল পড়বে। স্বাভাবিকভাবে যে চুল পড়ে তা আবার গজায় কিন্তু ঘুম কমের ফলে চুল পড়ে যাওয়ার হার গজানোর হারের তুলনায় কম। ঘুম কম হলে মেলাটোনিন কম তৈরি হয় এবং মেলাটোনিন তৈরি হয় টাইরোসিনের সহায়তায়। সুতরাং মেলাটোনিন তৈরি কম হলে শরীরে টাইরোসিন জমতে থাকবে। এর ফলে টাইরোসিন মেলানিন পিগমেন্ট তৈরি করে ত্বকের রং কালো করে। ঘুম না হলে প্রথমে চোখের তলায় কালি পড়ে। দীর্ঘদিন ঘুম না হলে বা ঘুমের কমতি হলে ত্বকের রং কালচে হয়ে ওঠে। ঘুমের মাঝে সেবাশিয়াস গ্ল্যান্ডের ক্ষরণ হয়। সেবাশিয়াস গ্ল্যান্ডের ক্ষরণের ফলে ত্বক ও চুল উজ্জ্বল থাকে। তাই ঘুম কম হলে ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা কমে যায়। ঘুমের মাঝে মাসল বা মাংসপেশি রিলাকশেসন বা শিথিল হয়। ফলে রক্ত সঞ্চালিত হয়ে শরীরের সব জায়গায় পৌঁছে এবং শরীরের ক্ষয় পূরণ হয়। কিন্তু ঘুম কম হলে তা সম্ভব হয় না। —স্বাস্থ্য ডেস্ক

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর