মুখের ভিতর বা জিভে অনেক সময় ঘা লক্ষ্য করা যায়। ডায়বেটিক রোগী গর্ভকালীন সময়, ছত্রাক সংক্রমণ, ভিটামিন ‘এ’র অভাব, মানসিক চাপ, দাঁত ও মাড়ি রোগের কারণে মুখে ঘা হয় বলে ধারণা করা হয়। সাধারণত সব বয়সী নারী-পুরুষের মুখে এপথাস আলসার নামের এক ধরনের ঘা বেশি দেখা যায়। ভিটামিন ‘বি’র স্বল্পতা, অনিদ্রা, অপরিচ্ছন্ন মুখগহ্বর, মানসিক চাপ, ধারালো বা অস্বাভাবিকভাবে দাঁত ক্ষয় হয়। এর ফলে দাঁতের ধারালো অংশ ক্রমাগত জিহ্বা বা মুখের ভিতর আঘাত করে। বেশির ভাগ আলসার বা ঘা এ কারণে হয়ে থাকে। এস্টরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবন, কেমো থ্যারাপি, অনেক দিন যাবৎ রোগ ভোগ, ক্যান্সার, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে ইত্যাদি কারণে ক্যানডিডা নামক এক ধরনের ছত্রাক সংক্রমিত হয়। এর ফলে মুখে ঘা হয়ে থাকে। এ ছাড়া যে সব হাঁপানি রোগী ইনহেলার গ্রহণ করে তাদের সাবধানতার সঙ্গে সেটি গ্রহণ করা উচিত। এটি গ্রহণের পর মুখ ভালো করে পরিষ্কার না করলে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। ক্ষত জায়গায় জ্বালাও হতে পারে।
ডা. আহমাদ বুলবুল
ডেন্টাল সার্জন, পিজিটি ট্রেনিং, বিএসএমএমইউ, ঢাকা।